Talam Bridge

চূড়ান্ত পরীক্ষায় অতিরিক্ত দেড়শো পুলিশ

লালবাজার সূত্রের খবর, বড় পরীক্ষায় বসার আগে এ দিন ‘সাজেশনে’ চোখ বোলাতে বসেছিলেন পুলিশের বড় কর্তারা।

Advertisement

কুন্তক চট্টোপাধ্যায় ও  নীলোৎপল বিশ্বাস

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৩৪
Share:

শেষ অঙ্ক: টালা সেতু ভাঙার কাজ চলছে পুরোদমে। তার মধ্যেই পায়ে হেঁটে সেতু পেরোচ্ছেন কয়েক জন। রবিবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

টালা সেতু বন্ধের পরে প্রথম দিন শনিবার যান নিয়ন্ত্রণ করতে নাকাল হতে হয়েছিল। রবিবার যদিও ছুটির দিন, তবু কিছুটা ধাতস্থ হওয়া গিয়েছে বলে জানায় পুলিশ। অনেকেই জানাচ্ছেন, টেনেটুনে ‘পাশ মার্কস’ পেলেও শনি আর রবিবার তো ছিল ‘ক্লাস টেস্ট’! চূড়ান্ত পরীক্ষা তো আজ, সোমবার! বাস, গাড়ির চাপ সামলে টালা এবং সংলগ্ন এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে কি?

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, বড় পরীক্ষায় বসার আগে এ দিন ‘সাজেশনে’ চোখ বোলাতে বসেছিলেন পুলিশের বড় কর্তারা। খোদ ডিসি (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমারের নেতৃত্বে বৈঠক করেন ট্র্যাফিক কর্তারা। বৈঠকে উঠে এসেছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে চিৎপুর লকগেট উড়ালপুলের যান চলাচলের অভিমুখ কি বদলাতে হবে? লকগেট উড়ালপুল রাতে

চালু থাকবে কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।

Advertisement

বর্তমানে লকগেট উড়ালপুল দিয়ে শ্যামবাজার থেকে বি টি রোডের উত্তরমুখী বাস চালাচ্ছে পুলিশ। শনিবারের অভিজ্ঞতা বলছে, তাতে বি টি রোডের উত্তরের যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও শ্যামবাজারমুখী বাস-গাড়ির জট পাকছে। কারণ, টালা পার্ক, পাইকপাড়ার রাস্তা প্রবল গাড়ির চাপ নিতে পারছে না। লালবাজারের এক কর্তার বক্তব্য, সকাল ও দুপুরে বি টি রোডে উত্তরমুখী গাড়ির চাপ তুলনায় কম থাকে। তাই উড়ালপুল দিয়ে বাস-গাড়ি দক্ষিণমুখী করা যেতেই পারে। ‘‘বৈঠকে বলা হয়েছে, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে’’, মন্তব্য ওই কর্তার।

গভীর রাতে লকগেট উড়ালপুল বন্ধ প্রসঙ্গে লালবাজারের বক্তব্য, উড়ালপুলে মারাত্মক বাঁক রয়েছে। ওই সময়ে দ্রুত গতির ছোট গাড়ি বা মোটরবাইক উড়ালপুলে

দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই আপাতত বন্ধ থাকলেও সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে। ছুটির দিন হওয়ায় রবিবার বাস-গাড়ি তুলনায় কম ছিল। তবু সেতু সংলগ্ন এলাকায় গাড়ির চাপ দেখা গিয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রায় শনিবারের মতোই সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

আজ, সোমবার কী হবে? পুলিশের দাবি, সকাল সাতটার মধ্যে টালা পরিস্থিতি সামলানোর দায়িত্বে থাকা সব কর্মী-আধিকারিককে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত ১৫০ জন পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হচ্ছে। লকগেট উড়ালপুল এবং টালা এলাকা থেকে বিকল গাড়ি সরাতে পর্যাপ্ত রেকারও থাকছে।

পুলিশের দাবি, ভোগান্তি আদতে হচ্ছে টালা-বেলগাছিয়া এলাকায়। এমনিতেই লেক টাউন থেকে আর জি কর হাসপাতালের দিকে গাড়ির চাপ থাকে। সেই সঙ্গে বি টি রোডের দক্ষিণমুখী গাড়ি এসে পড়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। রাত বাড়লে সমস্যা বাড়াচ্ছে পণ্যবাহী গাড়িও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাকপুর এবং বিধাননগর কমিশনারেটের সঙ্গেও সমন্বয় বাড়াতে বলা হয়েছে। যাতে ওই দুই এলাকা থেকে ট্রাক টালা এলাকায় না ঢোকে। দিনের বেলায় চিৎপুর রেল ইয়ার্ড থেকে কয়েকটি লরি আসছে। তাও বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement