ফাইল চিত্র।
বুদ্ধিমান, মেজাজি। একই সঙ্গে বিশ্বস্ত এবং কর্মতৎপরও। গন্ধ শুঁকে অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করতে তাদের জুড়ি মেলা ভার। হরিয়ানা থেকে আসা এমনই ১০টি ল্যাব্রাডর ‘চাকরি’ পেতে চলেছে কলকাতা পুলিশে। লালবাজার সূত্রের খবর, প্রশিক্ষণ শেষে আগামী এপ্রিলেই তারা কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডে যোগ দেবে।
লালবাজার জানাচ্ছে, বর্তমানে কলকাতা পুলিশের সারমেয় বাহিনীতে ৩৮টি কুকুর রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬টি ল্যাব্রাডর, ৮টি
জার্মান শেফার্ড, একটি ককার স্প্যানিয়েল, একটি ডোবারম্যান, একটি গোল্ডেন রিট্রিভার এবং একটি বিগ্ল প্রজাতির। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘নতুন ১০ জন অতিথিকে আনার প্রক্রিয়াগত কাজ শেষ। টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে আগামী এপ্রিলেই ওরা কাজে যোগ দেবে।’’
সারমেয়-বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ল্যাব্রাডর গন্ধ শুঁকে শিকার খুঁজতে দক্ষ। তাদের ঘ্রাণশক্তিও খুব তীক্ষ্ণ। শান্ত মেজাজ এবং বুদ্ধিমান বলে ওদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও তুলনামূলক ভাবে সহজ। যার জন্য কলকাতা পুলিশে ল্যাব্রাডরের সংখ্যা বেশি। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা পুলিশে সারমেয় বাহিনীতে শূন্য পদ পূরণ হয়নি। পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে ডগ স্কোয়াড থেকে অনেক দিন আগেই অবসর নিয়েছে আটটি কুকুর। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে একটি বেলজিয়ান শেফার্ড ও আর একটি রটউইলার প্রজাতির কুকুরের। সারমেয় বাহিনীতে শূন্য পদ পূরণে কয়েক বছর আগে ল্যাব্রাডর প্রজাতির একটি পুরুষ ও স্ত্রী কুকুরের মধ্যে প্রজননের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। লালবাজার সূত্রের খবর, প্রজনন করানো হলেও সন্তান উৎপাদনে সফল হয়নি তারা। আবার, করোনা পরিস্থিতির কারণে বাইরে থেকে কুকুর কেনার প্রক্রিয়াতেও দেরি হচ্ছিল। তাই সম্প্রতি সংক্রমণের প্রকোপ কমতে হরিয়ানা থেকে ল্যাব্রাডর কেনার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানাচ্ছে লালবাজার।
নিয়মানুযায়ী, কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে ডগ স্কোয়াডে কর্মরত এক-একটি কুকুর আট থেকে দশ বছর পর্যন্ত কাজ করে। তাদের অবসরের বয়স হয়েছে কি না, তা জানতে বসে মেডিক্যাল বোর্ড। কোন কোন কুকুর অবসর নেবে, তা ঠিক করেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যেরাই। পুলিশ কুকুরেরা অবসর নেওয়ার পরে সাধারণত তাদের ডগ স্কোয়াডের কর্মী হিসেবে রাখা হয় অথবা কোনও পুলিশকর্মী বাড়িতে নিয়ে যান পোষ্য হিসেবে।