উদ্ধার হওয়া সোনা। নিজস্ব চিত্র
বড়বাজারে দু’-তিন দিন ধরে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১০ কিলোগ্রাম সোনা, ৪২৯ কিলোগ্রাম রুপো এবং প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। ডিআরআই সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম অনুরাগ জালান এবং বৈকুণ্ঠ প্রসাদ। মূলত বাংলাদেশ থেকে সোনা ও রুপো পাচার করে এনে কলকাতায় তা বিক্রি করা হত। অনুরাগ এই চক্রের মূল চাঁই বলে তদন্তকারীদের দাবি। বৈকুণ্ঠ তাঁর বিভিন্ন ডেরা পাহারা দিতেন।
ডিআরআই সূত্রের দাবি, গত অক্টোবর এবং চলতি মাসের ১০ তারিখে দু’বার চোরাই সোনা ধরা পড়েছিল। সে বার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে অনুরাগের নাম উঠে আসে। সেই সূত্র ধরে খবর জোগাড় করে বড়বাজারে অনুরাগের তিনটি ডেরায় হানা দেওয়া হয়। চেতন শেঠ স্ট্রিটের একটি শাড়ির দোকানের ভিতর থেকে ৬ কিলোগ্রাম সোনা মেলে। নলিনী শেঠ স্ট্রিটের একটি ডেরা থেকে কিছু সোনার মুদ্রা এবং ৪২৯ কিলোগ্রাম রুপো মেলে। তার মধ্যে কিছু রুপোর মুদ্রা এবং কিছু দানা ছিল। মনোহর দাস স্ট্রিটের ডেরা থেকে সোনা মিলেছে ৪ কিলোগ্রাম।
গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে উত্তর ২৪ পরগনা হয়ে সোনার বিস্কুট এবং রুপো এ দেশে আনতেন অনুরাগ। বড়বাজারের তিনটি ডেরায় সেই ধাতু গলিয়ে বার তৈরি করে তা এ দেশে কালোবাজারে বিক্রি করা হত। বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনা ও রুপোর মোট বাজারদর প্রায় ছ’কোটি টাকা বলে জানিয়েছে ডিআরআই।