ছবি সংগৃহীত।
কাঁসা দিয়ে তৈরি এক ফুটের কৃষ্ণ মূর্তিকে সোনার বলে চালিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক ব্যক্তিকে দিয়েছিল তাঁরই দুই পরিচিত। পরে ক্রেতার আরও তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সোনার দোকানে পরীক্ষা করে তিনি জানতে পারেন, পুরো মূর্তিটাই কাঁসার! এর পরেই তিনি পুলিশের কাছে দুই পরিচিতের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে দুই প্রতারকের এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম খোকন দাস। অন্য জন পলাতক। উদ্ধার হয়েছে কিছু টাকা।
প্রতারণার ঘটনাটি হাওড়ার ব্যাঁটরার টিকিয়াপাড়া নোনাপাড়ার কাছে মধুসূদন পালচৌধুরী লেনের। বৃহস্পতিবার সালকিয়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় খোকনকে। তার কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে বাকি টাকার খোঁজে তল্লাশি চলছে। খোঁজা হচ্ছে আর এক অভিযুক্ত, নদিয়ার নাকাশিপাড়ার নাড়ুগোপাল ঘোষকেও।
ব্যাঁটরা থানা এলাকার মধুসূদন পালচৌধুরী লেনের বাসিন্দা সলিল সিংহ গত মাসের ৭ তারিখ অভিযোগ করেন, তাঁরই পরিচিত খোকন এবং নাড়ুগোপাল একটি কৃষ্ণ মূর্তিকে সোনার তৈরি প্রাচীন বলে ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে তাঁকে প্রতারণা করেছে। সলিলের অভিযোগ, প্রতারকেরা তাঁকে জানিয়েছিল মূর্তিটি প্রাচীন। এর ঐতিহাসিক মূল্যের জন্য দাম হতে পারে দু’কোটি টাকা। কিন্তু তিনি পরিচিত বলে আট লক্ষ টাকায় তারা দিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ জানায়, সলিল প্রথমে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে মূর্তিটি কিনে নেন। পরে বাকি তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই মূর্তিটি পরীক্ষা করে তিনি জানতে পারেন যে, সেটি কাঁসার।
তদন্তে নেমে পুলিশও মূর্তি পরীক্ষা করে জানতে পারে সেটি কাঁসার তৈরি। মূর্তিটির ডান হাতের কব্জি থেকে কাটা। যা দেখে প্রাচীন মনে হলেও আদতে খুব পুরনো নয়। এর পরেই তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ খোকনকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে নাড়ুগোপালের নদিয়ার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে, খোকনের বাড়িতে তল্লাশি করে পুলিশ ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে।