জি ২০ সম্মেলনে সভাপতিত্বের ভার ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার নেতা। ছবি: রয়টার্স।
গত অক্টোবর মাসে দু’দিনের বিশেষ সভা ছিল জি-২০ অন্তর্ভূক্ত দেশগুলির। সেখানে ভারতকে পরবর্তী এক বছরের জন্য সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সেই অনুষ্ঠানে ওই দায়িত্বের সম্মানসূচক হাতুড়ি তুলে দেওয়া হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে। আগামী এক বছর ধরে দেশের নানা শহরে হবে বিভিন্ন কর্মসূচি। শুরুটা হচ্ছে সোমবার, কলকাতায়।
বুধবার পর্যন্ত তিন দিনের এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২০টি দেশের প্রতিনিধিরা সেখানে যোগ দেবেন। রবিবার থেকেই কলকাতায় চলে এসেছেন অনেকে। জানা গিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ, এলিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতো সংস্থার প্রতিনিধিত্বও থাকতে পারে। নিউ টাউনের একটি বেসরকারি হোটেল এবং বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে হবে সম্মেলন।
রাজ্যে অতিথিদের স্বাগত জানাতে নানা ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সোমবার প্রমোদতরীতে গঙ্গাবক্ষে সফর এবং নৈশভোজের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে। কলকাতার ঐতিহাসিক পর্যটন স্থলগুলিও সম্মেলনে আসা দেশ, বিদেশের অতিথিদের ঘুরিয়ে দেখানো হবে। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানোর পাশাপাশি বাংলার খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা থাকছে।
জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির এটি ১৮তম বার্ষিক সম্মেলন। এক বছরব্যাপী এই সম্মেলনে এই প্রথম পৌরোহিত্য করবে ভারত। আগেই জানানো হয়েছিল যে, এ বারের সম্মেলনের মূল বিষয় ‘বসুধৈব কুটুম্বকম্’। ভারতের পৌরহিত্যে হওয়া সম্মেলেন দেশের সনাতন ভাবনা তুলে ধরাই লক্ষ্য। তবে গোটা বিশ্বের আর্থিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের লক্ষ্য কী কী করা যায়, সেটাই হবে সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়।