ফাইল চিত্র
চুক্তি ভঙ্গ এবং পাওনা না-মেটানোয় তিন বছর আগে রাশিয়ার একটি জাহাজকে হলদিয়া বন্দরে আটকে ‘গ্রেফতার’ করেছিল কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। কার্যত জাহাজেই বন্দি ছিলেন নাবিকেরা। তিন বছর আইনি লড়াই চালিয়ে রাশিয়ার জাহাজটি নিলামে বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অবশেষে সিঙ্গাপুরের একটি জাহাজ সংস্থা রাশিয়ান জাহাজটি কিনে নিয়েছে। বিক্রির টাকা থেকে হাইকোর্টও কলকাতা বন্দরকে ২০ কোটি টাকা পাওনা মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে। করোনায় আয়-সঙ্কট কালে জাহাজ বিক্রি থেকে প্রাপ্ত টাকা কাজে লাগবে বলে শনিবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের দাবি, রাশিয়ার জাহাজ মালিক বা তাঁর এজেন্ট বন্দরের পাওনা মেটাচ্ছিলেন না। ফলে ২০১৭-র ডিসেম্বরে জাহাজটি বন্দর ছেড়ে যাওয়ার দিনই নাবিক-সহ আটকানো হয়। বন্দরের একটি বার্থ আটকে রেখেছিল জাহাজটি। অন্য জাহাজ নোঙর করতে পারছিল না। ফলে তাঁকে মাঝ নদীতে মুরিংয়ের মাধ্যমে নোঙর করানো হয়। আটকে রাখার পরও পাওনা মেটাতে আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন না জাহাজ মালিক। বাধ্য হয়ে ২০১৯ এর মাঝামাঝি সব ধরনের অনুমতি নিয়ে জাহাজটি নিলামের অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থা প্রায় ৪১ কোটি টাকায় জাহাজটি কিনে নেয়। মার্চ মাসে তারা এসে জাহাজের দখলও নেয়। এর পর বন্দরের পাওনা বাবদ মিলেছে ২০ কোটি টাকা।