সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে কলকাতা পুলিশ তল্লাশি চালানোর যে অনুমতি পেয়েছে, উচ্চতর আদালতে গিয়ে তা খারিজ করানোর চেষ্টা করতে পারে ইডি। —ফাইল চিত্র।
এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে তল্লাশি চালাবে কলকাতা পুলিশ। ইডি-র কর্তা মনোজ কুমারের বিরুদ্ধে যে এফআইআর রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ, তার তদন্তেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে তল্লাশি চালানো হবে। তল্লাশির অনুমতি চেয়ে পুলিশ সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আদালত মঙ্গলবার পুলিশকে ইডি-র দফতরে তল্লাশি চালানোর অনুমতি দিয়েছে।
রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্ত থেকে মনোজ কুমারকে ইডি সরিয়ে দিয়েছে আগেই। কিন্তু মনোজ কুমার যে ঘরে বসতেন, সেখানে তল্লাশি হলে বেশ কিছু নথি মিলতে পারে বলে কলকাতা পুলিশ মনে করছে। —ফাইল চিত্র।
রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার মনোজ কুমারের সঙ্গে রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসার পরই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ওই ইডি অফিসার। রোজভ্যালির তছরুপ মামলাতেও তাঁর নাম জড়িয়ে যায়। মনোজ কুমারকে তার পরে রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্ত থেকে সরিয়ে দেয় ইডি। এ ছাড়াও তোলাবাজি চালানোর অভিযোগও উঠেছে মনোজ কুমারের বিরুদ্ধে। প্রদীপ হীরাবত নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ করেন কমল সোমানি নামে এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তাঁর অভিযোগ, প্রদীপ তাঁর কাছে ৭৫ লক্ষ টাকা তোলা চান। না দিলে টাকা পাচারের মামলায় কমলকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রদীপ নাকি হুমকি দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় প্রদীপকে। তার পরই মনোজ কুমারের নাম আসে। পুলিশের দাবি, ইডি কর্তা মনোজ কুমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রদীপ। মনোজ এবং প্রদীপ হাত মিলিয়েই নাকি তোলাবাজির সিন্ডিকেট চালাতেন।
আরও পড়ুন: তাঁকে না জানিয়ে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ নয়, নোট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
কিন্তু সিজিও কমপ্লেক্সে মনোজ কুমার যে ঘরে বসতেন, সেখানে তল্লাশি চালালে বেশ কিছু নথি পাওয়া যেতে পারে বলে কলকাতা পুলিশের কৌঁসুলির দাবি। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট তল্লাশির অনুমতি দিয়েছে বলেও কলকাতা পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে। ১৭ এপ্রিল ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগে যে কোনও দিন সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে তল্লাশি চালাতে পারে কলকাতা পুলিশ, জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের কৌঁসুলি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে এ ভাবে রাজ্য পুলিশের তল্লাশির ঘটনা বিরল। সিবিআই এবং ইডি এ রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে তৎপরতা বাড়ানোর পর ইডির দফতরে তল্লাশি চালানোর জন্য আদালতে কলকাতা পুলিশের আবেদন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, বলছে ওয়াকিবহাল মহল।