KMC Poll

KMC Election 2021: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী: একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল বিজেপি

বৃহস্পতিবারই এই মামলায় রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রেখে বিচারপতি বলেন, কেউ নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:০৫
Share:

ফাইল ছবি

পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মামলার রায়ে ভোট পরিচালনায় পুলিশের উপরই আস্থা রেখেছে হাই কোর্টের একক বেঞ্চ। কিন্তু আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্ট নয় বিজেপি। এ নিয়ে এ বার তারা ডিভিশন বেঞ্চে গেল। প্রধান বিচারপতি মামলাটির গ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন। শুক্রবার এই মামলার শুনানি।

বিজেপি-র আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী প্রধান বিচারপতিকে বলেন, ‘‘এ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় সিবিআই এখনও তদন্ত করছে। তা ছাড়া গত পুরভোটে পুলিশ কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। ভয়মুক্ত পরিবেশে মানুষকে ভোট করাতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। সন্ত্রাসমুক্ত ভোটের জন্য ত্রিপুরা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু একক বেঞ্চ আমাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তাই আমরা ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করতে চাই। দয়া করে আমাদের অনুমতি দিন।’’ প্রধান বিচারপতি মামলাটির অনুমতি দেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবারই এই মামলায় রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রেখে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, কেউ নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করবে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। এ নিয়ে রাজ্য এবং কমিশনের ব্যাখ্যাতেও আদালত সন্তুষ্ট।

তবে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মনে করেন,এই রায়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি খারিজ হয়নি। তিনি বলেন,‘‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব বাড়ল। হলফনামা দিয়ে নির্বাচন কমিশন বলেছে, কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের উপর তাদের আস্থা রয়েছে। তারা ব্যাপক আয়োজন করেছে। অবাধ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে ভোট করানোর দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের।’’

Advertisement

বিজেপি-র আইনজীবী-নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন,‘‘আমরা লড়াইয়ে বিশ্বাস করি। ২০১৫ এর কর্পোরেশন ভোটে বাহিনী ছিল না, তাও আমরা লড়েছিলাম। এখানেও আমরা লড়ব। আমরা এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না। এটা আমরা ভাল করে জানি, রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী হিসাবে চলছে। কমিশন কি জানে না কী চলছে রাজ্যে। যদি কোন অশান্তি হয়, তবে তার দায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement