কলকাতা পুরসভা। ফাইল চিত্র
ডেঙ্গি রুখতে পুলিশি সাহায্য নেবে কলকাতা পুরসভা। শনিবার ডেঙ্গি প্রতিরোধ সংক্রান্ত এক সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘কিছু কিছু জায়গায় যেখানে পুরোনো বাড়ি আছে, কিংবা আইনি সমস্যা সংক্রান্ত সম্পত্তি রয়েছে, সেখানে আমরা যেতে পারছি না। সেখানেই ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি। তবে বিরাট আকারে ডেঙ্গির প্রকোপ শহরের সর্বত্র নেই। যে ছয়টি ওয়ার্ডে প্রকোপ বেশি, সেখানে আমরা কাজ করছি। তবে সমস্যা হচ্ছে পুরনো বাড়ি ও আইনি জটিলতায় আটকে থাকা সম্পত্তি নিয়ে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের লোকজনকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ঠেলাঠেলিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। এমন ক্ষেত্রে আমরা পুলিশি সাহায্য নেব।’’ কারণ প্রসঙ্গে মেয়র আরও বলেন, ‘‘বেশির ভাগ মানুষের অসুবিধা হবে দু’একজন মানুষের খেয়ালখুশির জন্য, তা মেনে নেওয়া যাবে না।’’
কলকাতা পুরসভার যে বোরোগুলিতে ডেঙ্গি সংক্রমণের সংখ্যা বেশি সেগুলি হল, ১, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২। সঙ্গে ৬, ৬৯, ৮২, ১১২ নম্বর ওয়ার্ডগুলিতেও ডেঙ্গির সংক্রমণ বেশি। পুরসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, চলতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত ৩৫২ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভা নিজের কাজ করছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য। ডেঙ্গি বৃদ্ধি পায় আবহাওয়ার জন্য। ত্রিস্তরীয় নজরদারি চলছে। প্রত্যেক বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে। অনলাইনে নজরদারি রাখা হচ্ছে, যে ওয়ার্ডগুলিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত সংক্রমণ বেশি হচ্ছে তাদের বাড়িগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সঙ্গে প্রত্যেক দিন অনলাইনে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’’