নির্মীয়মাণ পুজোমণ্ডপ। — ফাইল চিত্র।
শহর কলকাতায় ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার মশার প্রকোপ রুখতে ত্রিস্তর নজরদারি শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। সেই পর্যায়েই এ বার কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে নির্মীয়মাণ মণ্ডপগুলিতেও নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়ার দিন থেকেই কলকাতায় শারদোৎসব কার্যত শুরু হয়ে যাবে। তাই কলকাতায় এখন মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। এই মণ্ডপ তৈরির কারণে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জল জমে ম্যালিরিয়া বা ডেঙ্গির মশার জন্ম হতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে যাতে মশার উপদ্রপ শহরে বৃদ্ধি না পায়, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
ঠিক হয়েছে, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নির্মীয়মাণ পুজোমণ্ডপগুলির প্রস্তুতির সময় কোথাও জল জমছে কি না, সে বিষয়ে সজাগ নজর রাখবে পুরসভা। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে সব বোরো অফিসে গিয়ে কাউন্সিলর এবং আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। বুধবার সেই পর্যায়ে তিনি বেহালায় কলকাতা পুরসভার ১৩ নম্বর বোরোয় গিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকেই অতীন কাউন্সিলরদের নির্মীয়মাণ পুজোমণ্ডপগুলিতে নজরদারি করতে বলেছেন। সেখানে যাতে জল জমে মশার উপদ্রব না বাড়ে সেই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রেখে চলতে বলা হয়েছে।
এমনিতেই কলকাতা শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে সব বড় বড় পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে। সেই সব পুজোর মণ্ডপ নির্মাণের প্রস্তুতি চলে প্রায় দু’তিন মাস ধরে। তাই সেই সময়ে মণ্ডপ নির্মাণের কারণে জল জমার সমস্যা বাড়তে পারে। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পুজোমণ্ডলগুলির নির্মাণ হয় মূলত কোনও পার্কে বা মাঠে, নতুবা কোনও ক্লাবে ব্যক্তিগত জায়গায় কিংবা রাস্তায়। রাস্তায় মণ্ডপের নির্মাণ হলে, পুরসভার পক্ষে নজরদারি করা অনেক সহজ হয়। কিন্তু ক্লাবে ব্যক্তিগত জমিতে কিংবা কোনও পার্ক বা মাঠে পুজোমণ্ডপ তৈরি হলে সে সব জায়গায় পুরসভাকে নজর রাখতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে হেতু ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া বর্ষার মরসুমে প্রায়ই দাপট দেখায়। তাই এ বার যেখানে যেখানে মণ্ডপ হচ্ছে, সব জায়গাতেই পুরসভার তরফে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’