কলকাতায় জমা জল দ্রুত নামাতে চায় কলকাতা পুরসভা। ফাইল চিত্র।
সোমবার সকালের বৃষ্টিতেই শহর কলকাতার কোথাও কোথাও জল জমতে শুরু করেছে। তার উপর ‘অশনি’ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও, শহরে জমা জলের সমস্যা ঠেকাতে মেয়র পারিষদদের দায়িত্ব ভাগ করে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বরোভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে বলেই কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর। পাশাপাশি, কলকাতা শহরের ৭৭টি পাম্পিং স্টেশনকে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলতে বলা হয়েছে। কোথাও জল জমলে তা যাতে দ্রুত নামানো যায় সেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই জল জমে গিয়েছে কাকুঁড়গাছি আন্ডারপাসে। জল জমেছে পাতিপুকুর, ক্যামাক স্ট্রিট, লাউডন স্ট্রিট, মহাত্মা গাঁধী রোডের একাংশে। এ ছাড়াও দক্ষিণ কলকাতার ডায়মন্ড হারবার রোডের একাংশেও জল জমেছে।বাঘাযতীন উড়ালপুলের নীচে জল জমেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটে জল জমে রয়েছে। এ ছাড়াও সাউথ সিটির বাউন্ড রোড এলাকা-সহ লেক গার্ডেন্স এলাকাতেও জল জমেছে। জল জমে থাকার কারণে শহরে যান চলাচলের গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে। তাই কলকাতা পুরসভা সোমবার থেকেই সপ্তাহব্যাপী এ বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে চায়। যাতে জল জমা থেকে শুরু করে শহরে যান চলাচলের গতি স্বাভাবিক রাখা যায়।
তবে দুর্যোগের পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদদের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, বরো চেয়ারম্যানদেরও সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। ১ এবং ২ নম্বর বরোর অন্তর্গত ওয়ার্ডগুলি দেখবেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। এছাড়া মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার, আমিরুদ্দিন(ববি)-কে উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি বরোর পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখতে বলেছেন মেয়র। দক্ষিণ কলকাতার বরোগুলির ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেয়র পারিষদদেবাশিস কুমার থেকে বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়কে। ইতিমধ্যেঝড়বৃষ্টি সামলাতে আপৎকালীন ভিত্তিতে নিকাশি, জল সরবরাহ, উদ্যান বিভাগকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুমে কোনও সমস্যার খবর এলেই বরোভিত্তিক সেই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক।