শোভনকে ডাকল ইডি, সঙ্গে সুলতান, ইকবালও

তদন্তকারীদের কথায়— পুরভবনে নিজের অফিসে বসে ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায় টাকার বান্ডিল নিচ্ছেন, সম্পাদিত ও অসম্পাদিত ফুটেজে এটা স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে শোভনবাবু এই ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭ ০৪:১১
Share:

শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

নারদ কাণ্ডে কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা দমকল ও আবাসন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এ বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। একই সঙ্গে ডেপুটি মেয়র তথা খানাকুলের বিধায়ক ইকবাল আহমেদ ও তাঁর দাদা উলুবেড়িয়ার সাংসদ সুলতান আহমেদকেও তলবি নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। শোভনবাবুকে ডাকা হয়েছে সোমবার, সুলতান আহমেদকে আগামী বুধবার এবং ইকবাল আহমেদকে তার পর দিন। বুধবারই তিন জনের বাড়িতে ওই নোটিস পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

তদন্তকারীদের কথায়— পুরভবনে নিজের অফিসে বসে ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায় টাকার বান্ডিল নিচ্ছেন, সম্পাদিত ও অসম্পাদিত ফুটেজে এটা স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে শোভনবাবু এই ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই নির্বাচনে তিনি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। ইডি-র তদন্তকারীদের কথায়, মূলত ওই টাকা তিনি কোন খাতে খরচ করেছেন, তা জানতে চাওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া খরচের হিসেবে ওই টাকার উল্লেখ রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।

আরও পড়ুন: ঘরছাড়া অন্তঃসত্ত্বাদের আশ্রয় এখন কওসর-অসীমরাই

Advertisement

এ দিন দুপুর থেকে পুরভবনেই ছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। আজ বৃহস্পতিবার মেয়র পারিষদদের যে বৈঠক হবে, তা নিয়ে অফিসারদের সঙ্গে আলোচনাও করেন। বেলা চারটের পর কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি হিসেবে দক্ষিণ কলকাতায় ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে এক বৈঠকেও যোগ দেন। বৈঠক চলাকালীনই তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। সেই ফোন পেয়েই বেরিয়ে যান মেয়র। পরে ফোন করা হলে ইডি-র নোটিসের কথা জানান শোভন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ইডি তলব করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করবে। আমি সহযোগিতা করব।’’

নারদ কাণ্ডে সুলতান ও ইকবালকে সিবিআই ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এক দফা জিজ্ঞাসাবাদের পরই অবশ্য অসুস্থ হয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছেন ইকবাল। তার পরে আর সিবিআইয়ের দফতরে তিনি আসেননি। ইডি-র তদন্তকারীদের কথায়, সপ্তাহ দুয়েক আগে ইকবালকেও নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ বলে আইনজীবীর চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তার পরে এ দিন ফের নোটিস দেওয়া হল ইকবালকে। সুলতান আহমেদের এই ভাই-ই রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে ম্যাথুকে নিয়ে যান বলে তদন্তকারীদের দাবি। তিনিই মামলার প্রধান সাক্ষী।

ইডি-র তদন্তকারীদের কথায়, নারদ কাণ্ডে ১৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের কাছ থেকে এই ১৩ জনের সবিস্তার তথ্য নেওয়া হয়েছে। ইডির তরফেও ওই ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement