Road Accidents

পথ দুর্ঘটনায় রাজ্য একাদশে, কলকাতা তৃতীয়

এনসিআরবি-র তথ্য়ে প্রকাশ, মোটরবাইক দুর্ঘটনায় সব থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে লরির ধাক্কায় মৃত্যু বেশি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৬:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

বেপরোয়া গাড়ি চালানো নিয়ে সতর্কতা রয়েছে। কিন্তু চালকেরা তা মানছেন কি? সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৯ সালে দ্রুত এবং অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়েই সব থেকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। মোট দুর্ঘটনার ৫৫.৭ শতাংশই এই কারণে ঘটেছে। পুলিশের একাংশের দাবি, এই ধরনের ঘটনায় মৃত্যুও বেশি ঘটে।

Advertisement

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর নিরিখে প্রথম দশে নেই পশ্চিমবঙ্গ। তার স্থান একাদশে। তবে মহানগরে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর নিরিখে কলকাতা রয়েছে তৃতীয় স্থানে। দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের পরেই। তবে কলকাতায় ২০১৮ সালের তুলনায় দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু কমেছে। যার পিছনে রাজ্য সরকারের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচিকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। পথ দুর্ঘটনায় এ রাজ্যে ২০১৯ সালে মারা গিয়েছেন ৫৭২৪ জন। ২০১৮ সালে মৃত্যু হয়েছিল ৫৪০৪ জনের। দেশের মধ্যে দুর্ঘটনায় সব থেকে উপরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।

এনসিআরবি-র তথ্য়ে প্রকাশ, মোটরবাইক দুর্ঘটনায় সব থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে লরির ধাক্কায় মৃত্যু বেশি হয়েছে।

Advertisement

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে রাজ্যে জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে বেপরোয়া ভাবে এবং অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর ফলে ৩৫৭৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে মৃত্যু হয়েছে ১৯৩৮ জনের। আবার বেপরোয়া ভাবে ট্র্যাফিক আইন না মেনে ওভারটেক করে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে গাড়ি চালানোর জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৬০৬টি। যাতে মৃত্যু হয়েছে ১৪৩৬ জনের।

এনসিআরবি-র তথ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো ছাড়াও চালকদের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে ওভারটেকিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৭.৫ শতাংশ। দুর্ঘটনা বাকি ১৭ শতাংশের পিছনে মদ্যপান করে গাড়ি চালানো, আবহাওয়া জনিত কারণ-সহ অন্যান্য কারণ রয়েছে।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতে পথ দুর্ঘটনায় ওই বছর এক লক্ষ ৫৪ হাজার ৭৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এনসিআরবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ২০১৯ সালে দুর্ঘটনার ৪৩ শতাংশই হয়েছে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত নটার মধ্যে। তবে এ রাজ্যে ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয়েছে দুপুর তিনটে থেকে সন্ধ্যার মধ্যে। পুলিশ কর্তাদের মতে, দুপুরে রাস্তায় গাড়ি কম থাকার জন্যেই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার পাল্লায় পড়েছেন চালকেরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্য সড়কের তুলনায় জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু, দুই-ই বেশি। রাজ্যে অবস্থিত জাতীয় সড়কে ওই বছর ৩৪৬৫টি দুর্ঘটনায় ১৯৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সড়কে ২৬৮২টি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ১৬১৭ জন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement