coronavirus

সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় দেশের ২০ বড় শহরের তালিকায় এ বার ঢুকে পড়ল কলকাতা

দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে যে রাজ্যে, সেখানে মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঠিক সময়ে চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২১ ০৪:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দেশে কোভিডের মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যায় যে ২০টি মেট্রোপলিটন শহর বা জেলার অবদান সবথেকে বেশি, তার মধ্যে ঢুকে পড়েছে কলকাতাও। গত সাত দিনে যে সব রাজ্যে কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধির হার খুবই বেশি, সেই তালিকাতেও এখন পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে। রাজ্যে কোভিড রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.১৯ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের থেকেও কর্নাটক, কেরল, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশে কোভিড কেস বৃদ্ধির হার বেশি। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের নেতৃত্বে কোভিড মোকাবিলার জন্য তৈরি উচ্চস্তরীয় মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে এই তথ্য উঠে এসেছে। যে সব শহরে বা রাজ্যে সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে, সেখানে মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঠিক সময়ে চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা বলেন, এইসব শহরে ও রাজ্যে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষাও বাড়ানো দরকার।

Advertisement

শনিবারেই এই আর্জি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন হর্ষ বর্ধন। তাঁর দাবি, রাজ্যে করোনার পরীক্ষা পর্যাপ্ত হচ্ছে না। সেটা করা দরকার। নমুনা পরীক্ষা বেশি হলে করোনার উৎস অনুসন্ধান করতেও সুবিধা হবে।

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবারেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি দশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দুই কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও সেই তালিকায় ঠাঁই পায়নি পশ্চিমবঙ্গ। সূত্রের খবর, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন করে সেখানকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন মোদী। রাজ্যের কী কী সাহায্যের প্রয়োজন তা নিয়ে বিশদে খোঁজ নিচ্ছেন।

Advertisement

শনিবার যে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মোদী কথা বলেন তার মধ্যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে রয়েছেন। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে প্রায় ৫৪ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। এ ছাড়াও শনিবার আরও যে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন তার মধ্যে মধ্যপ্রদেশে

গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছে প্রায় ১২ হাজার এবং হিমাচলে ৪১৭৭ জন। পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের সংখ্যা ১৯ হাজারেরও বেশি।

শুক্রবারেই টিকা ও অক্সিজেন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তারই পাল্টা চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলায় সংক্রমণের হার বেশ বেশি। প্রায় ৪০ শতাংশ। ফলে, আরও বেশি নমুনা পরীক্ষা দরকার।

করোনার এই লড়াইয়ে রাজ্যকে সব ধরণের সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন হর্ষ বর্ধন। টুইটে প্রকাশ করা তাঁর ওই চার পাতার চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, করোনায় রাজ্যের জন্য ২৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আর্থিক সাহায্য ছাড়াও ওষুধ, অক্সিজেন, নমুনা পরীক্ষার সরঞ্জাম ও টিকা পাঠানো হচ্ছে। মন্ত্রীর দাবি, ইতিমধ্যেই ১ কোটি ১৮ লক্ষ ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে। আরও ২ লক্ষ ডোজ পাঠানো হবে। আগামী
২১ মে-র মধ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেনও পাঠানো হবে। নবান্নের পাল্টা প্রশ্ন, তত দিন পর্যন্ত কী হবে?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement