ব্রিগেডমুখী ভিড়। চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনের সামনে তোলা নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ ব্রিগেড সমাবেশের পথে বাড়ছে ভিড়। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নাকি এ রাজ্যে ‘একলা চলো’ নীতি— কোন পথ বাছবেন সিপিএম নেতৃত্ব? সমাবেশ থেকে মিলবে কি তার ইঙ্গিত? তা জানা যাবে শীঘ্রই! তবে তার আগে রবিবাসরীয় ব্রিগেড সমাবেশের জন্য ইতিমধ্যেই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।
শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাবেশে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই দলে দলে আসতে শুরু করেছেন সিপিএম-এর কর্মী-সমর্থকেরা। বেলা ১১টা থেকেই শহরের রাজপথ ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে মিছিলের দখলে।
হাওড়া থেকে আসা বামকর্মীরা হাওড়া-স্ট্র্যান্ড রোড ধরে বাবুঘাট হয়ে ব্রিগেডে আসছেন। শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে অনেকে মৌলালি হয়ে ধর্মতলা হয়ে সমাবেশে যোগ দিতে আসছেন। উত্তর কলকাতা এবং উত্তর শহরতলি থেকে অনেকে শ্যামবাজার-বিধানসরণি-ধর্মতলা হয়ে ব্রিগেডে আসছেন। দক্ষিণ কলকাতা থেকে সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা গড়িয়াহাট মোড়-হাজরা-আশুতোষ মুখোপাধ্যায় রোড হয়ে ব্রিগেডের পথ ধরেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, যানজট এড়াতে এ দিন সকাল থেকেই প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এবং বিদ্যাসাগর সেতুতে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটিই সিপিএম-এর শেষ ব্রিগেড সমাবেশ। দলের সাংগঠনিক এবং জনভিত্তির মূল্যায়ণ হবে এ বারের সমাবেশে। তাই এ দিনের ব্রিগেড সমাবেশের দিকেই সকলের নজর।
এরই মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সিপিএম সমর্থক বোঝাই ব্রিগেডমুখী দু’টি গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের দিকে। যদিও তা অস্বীকার করেছে শাসক দল। বামেদের দাবি, তৃণমূল সমর্থকদের হামলাতেই মাথা ফেটেছে এক দলীয় কর্মীর। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জোটে ইয়েচুরির সায়, দ্বিধায় বুদ্ধ