ছবি: শাটারস্টক।
শীত না পড়তেই চলতি মরসুমের শীতলতম দিন পেল কলকাতা!
হালকা না-গরমের একটা আরাম গত ক’দিন ধরেই জড়িয়ে ছিল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলার গায়ে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার আলিপুরের আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিল, কলকাতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা নেমেছে। ও দিকে, উত্তুরে ঠান্ডা হাওয়াও কড়া নাড়ছে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশ দ্বারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতার বেশ কিছু এলাকার তাপমাত্রা ছিল এই মরসুমে সবচেয়ে কম। বৃহস্পতিবার প্রথম কলকাতার তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুরের ১৯.১ ডিগ্রি, সল্টলেকে ১৯.১ ডিগ্রি এবং কলকাতার লাগোয়া হাওড়ায় তাপমাত্রা ছিল ২০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর মধ্যে আলিপুরের তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। দমদমের তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে কম। এ ছাড়া বর্ধমান, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বীরভূমেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রির নীচে। নদিয়া-মুর্শিদাবাদে ২০ ডিগ্রির নীচে ছিল তাপমাত্রা।
ফলে গত ক’দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে থাকা শীত শীত ভাব নভেম্বরের বাকি দিনগুলিতেও থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে হাওয়া অফিস। তবে একই সঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছে শীতও আর বেশি দূরে নেই।
পৌষ মাস আসতে এখনও দিন ২০ বাকি। এক সপ্তাহ পরে ডিসেম্বর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আর দু-তিন দিনের মধ্যেই উত্তুরে হিমেল হাওয়া দক্ষিণবঙ্গে ঢুকতে শুরু করবে। ফলে আরও কমবে তাপমাত্রা।
সাধারণত বঙ্গে শীত নিয়ে আসে এই উত্তুরে হাওয়া। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মানলে এই উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করলে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আগামী দু-তিন দিনে আরও ১-২ ডিগ্রি নামবে।