KLO

KLO: ফের কোচ-কামতাপুরি রাজ্যের দাবি, জীবনের ভিডিয়ো বার্তায় দুই বিজেপি মন্ত্রীর নামও

জীবনের বার্তায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। বিধানসভা ভোটের পরে বাংলা ভাগের দাবি প্রথম শোনা গিয়েছিল বার্লার মুখেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৫:৩৫
Share:

গোপন ডেরায় জীবন সিংহ।

আবার কোচ-কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি করলেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। তবে এ বারে তার সঙ্গে জুড়ে দিলেন দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর নাম। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করে (যার সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) জীবন দাবি করেন, কেন্দ্র অবিলম্বে জন বার্লা ও নিশীথ প্রামাণিকের নেতৃত্বে সংবিধানে থাকা কোচ শ্রেণিভুক্ত সকলকে নিয়ে কোচ-কামতাপুরি রাজ্য গঠন করে দিক।

Advertisement

জীবন আরও জানান, কোচবিহারের ভারতভুক্তি চুক্তির কথা মাথায় রেখে পুরনো কোচবিহার তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তিনি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং এআইসিসির সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে।

জীবনের এই বার্তায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে বিজেপি বিপর্যস্ত হওয়ার পরে বাংলা ভাগের দাবি প্রথম শোনা গিয়েছিল জন বার্লার মুখেই।

Advertisement

তার পরে তিস্তা-তোর্সা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। বার্লা এবং নিশীথ, দু’জনই এখন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তাঁদের নাম জুড়ে ফের বাংলা ভাগের দাবি তুলে জীবন নতুন করে বিতর্কে ইন্ধন জোগালেন। নিশীথ এই নিয়ে কিছু বলতে চাননি। বার্লা ফোন ধরেননি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এই মন্তব্য থেকে দূরত্ব তৈরি করে বলেন, ‘‘কেএলও একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। তাই ওদের বক্তব্য নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’’ কিন্তু তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘‘বিধানসভা ভোটে হেরে রাজ্য ভাগের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।’’ এর পাল্টা সুকান্তের বক্তব্য, ‘‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গকে ভাঙার আমাদের কোনও পরিকল্পনা নেই। উনি পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে যা স্বপ্ন দেখেছেন, সেটাই আমাদেরও স্বপ্ন।’’

জীবন সিংহ আজ, প্রজাতন্ত্র দিবসে পরাধীন দিবস পালনেরও ডাক দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গে তা কতটা প্রভাব ফেলে, সেটাও দেখার। তবে তিনি এ দিনও যে গলায় হলুদ ‘গামোছা’ জড়িয়ে বক্তব্য রেখেছেন, তার প্রতিবাদ করেন উজানি অসমের কোচরা। তাঁদের দাবি, ওই ‘গামোছা’ কোচ নয় রাজবংশীদের চিহ্ন এবং রাজবংশীরা সম্পূর্ণ পৃথক সম্প্রদায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement