বুধবার ঝুলন্ত অবস্থায় যুগল নায়েকের দেহ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রতীকী ছবি।
হাঁসুয়ার কোপ মেরে স্ত্রীকে ‘খুন’ করে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মঘাতী’ হলেন এক মদ্যপ। বুধবার ভোরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরে ওই দম্পতির বাড় থেকে তাঁদের দেহ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের দাবি, স্ত্রীকে খুনের পর থেকে আত্মঘাতী হওয়া— গোটাটাই ঘটেছে ওই মদ্যপের দুই নাবালিকা সন্তানের সামনে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ভোর ৪টে নাগাদ খড়্গপুর টাউন থানার কুচলাতারি গ্রামের বাড়ির শোওয়ার ঘরে যুগল নায়েক (৩৪) এবং তাঁর স্ত্রী বকুল নায়েক (৩১)-এর দেহ পড়েছিল। ঘটনার পর দম্পতির ৬ এবং ৮ বছরের দুই মেয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেয়। তারাই অন্যদের ডেকে আনে। খবর পেয়ে বুধবার সকালে পুলিশ গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর দেহ নিয়ে যায়। দেহদু’টির ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিয়মিত মদ্যপান করতেন যুগল। তাঁদের অনুমান, রাতেই শোওয়ার ঘরে স্ত্রীর গলায় হাঁসুয়ার কোপ মেরে খুন করেন তিনি। এর পর আত্মহত্যা করেন। বুধবার ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তির দেহ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয়দের দাবি, যুগল মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এমনকি, মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক আচরণও করতেন। যুগলই তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন কি না অথবা তা করলেও কী কারণে তেমন করলেন, তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সবই খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে তারা। কেন তিনি ‘আত্মঘাতী’ হলেন, তা-ও জানার চেষ্টা করছেন পুলিশের তদন্তকারী অফিসারেরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’