ঘটনার দিন, খাগড়াগড়ের বাড়িতে। ফাইল চিত্র
খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় ১৯ জনের সাজা হলেও তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) দাবি, খাগড়াগড়-কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত ও জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র এক সময়ের শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালেহিন ওরফে ‘বড় ভাই’ এখনও ফেরার। তাকে গ্রেফতার করতে পারলেই খাগড়াগড়ের তদন্ত শেষ হবে। ওই মামলার তিন অভিযুক্ত সালাউদ্দিন, তালহা শেখ ও হাত কাটা নাসিরুল্লা এখনও পলাতক। এনআইএ সূত্রের খবর, সম্প্রতি খবর মিলেছে তালহা ও নাসিরুল্লা বাংলাদেশে ধরা পড়েছে। ওই দু’জনকে খাগড়াগড় মামলায় গ্রেফতার করে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মামলায় এনআইএ ৩০ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে মোট পাঁচটি চার্জশিট জমা দিয়েছে। তালহা শেখ ও হাত কাটা নাসিরুল্লার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হলেও সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়নি এনআইএ।
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা সালাউদ্দিন কোথায় আত্মগোপন করে রয়েছে, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে তদন্তকারীদের মধ্যে। সূত্রের একাংশের দাবি, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এ দেশের কোথাও আশ্রয় নিয়েছে ওই জঙ্গি। এক তদন্তকারী জানান, সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করার পরে তাকে জেরা করা হবে। জেরায় যে সব তথ্য মিলবে তার উপর ভিত্তি করে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।
সালাউদ্দিনকে বাংলাদেশ পুলিশ গ্রেফতার করলেও ২০১৪ সালে জেল থেকে ময়মনসিংহ আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে তার সঙ্গীরা হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেয় তাকে। একই সঙ্গে ছিনিয়ে নেওয়া হলেছিল কওসরকে। পরে কওসর ধরা পড়ে।
খাগড়াগড় মামলায় ১১ অভিযুক্তের বিচার এখনও চলছে। পাঁচটি চার্জশিটে সাক্ষী রয়েছেন ৬৩০ জন। আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, এত সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হলে মামলার নিষ্পত্তি হতে বহু সময় লেগে যাবে।
অভিযুক্তদের আইনজীবী ফজলে আহমেদ জানান, আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন ধৃত জেএমবির দুই সদস্য জাহিরুল শেখ এবং হবিবুর রহমানের হাতে চার্জশিটের কপি তুলে দেওয়া হবে। অভিযুক্তদের আইনজীবী জানান, চার্জশিটের কপি মিললে বিচারপর্ব শুরু হবে ওই দু’জনেরও।
এনআইএ সূত্রের খবর, বিস্ফোরণ-সহ খাগড়াগড় কাণ্ডে বাকি ১১ জনের ভূমিকা খতিয়ে দেখে তাদের এক জনকে রাজসাক্ষী করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।