মাঝে ন’মাস বন্ধ ছিল খাগড়াগড় বিস্ফোরণের শুনানি। বৃহস্পতিবার নতুন করে ফের কলকাতার এনআইএ আদালতে শুরু হল সাক্ষ্যগ্রহণ।
বিস্ফোরণের পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের আগে পৌঁছেছিল দমকল বাহিনী। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এ কথা এ দিন বিচারককে জানান বর্ধমান থানার তদানীন্তন আইসি আব্দুল গফ্ফর। তিনিই এই মামলার প্রথম সাক্ষী। তাঁর এফআইআর-এর ভিত্তিতেই মামলা শুরু হয়।
কিন্তু কেন পুলিশের আগে দমকল পৌঁছল? আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণস্থল থেকে দমকলের স্থানীয় অফিস কাছে। বর্ধমান থানার দূরত্ব সেই তুলনায় অনেকটাই বেশি। এলাকার মানুষ প্রথমে মনে করেছিলেন, রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটেছে। তাঁদেরই ফোন পেয়ে দমকল পৌঁছয়। এনআইএ-এর বিশেষ আইনজীবী শ্যামল ঘোষ আদালতের বাইরে এসে বলেন, ‘‘দমকলকে ঘটনাস্থলে যেতে হয়েছিল আগুন নেভাতে। এতেই প্রমাণিত হয়, কত বড় বিস্ফোরণ ঘটেছিল খাগড়াগড়ে।’’
আদালতের বাইরে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী ফজলে আহমেদ খান অভিযোগ করেন, ‘‘কোনও বড়সড় বিস্ফোরণের ঘটনা হলে পুলিশ আগে ঘটনাস্থলে যায়। দমকল পরে। এমনকী দমকল আগে পৌঁছলে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তবেই ঘটনাস্থলে ঢোকে। এ ক্ষেত্রে দমকলের হাতে কোনও প্রমাণ লোপাট হয়েছিল কি না সেটা দেখতে হবে।’’ পুলিশ অফিসার আব্দুল গফ্ফর বিস্ফোরণের দিন ঘটনাস্থলে যাননি এবং সেখান থেকে কোনও তথ্যপ্রমাণও বাজেয়াপ্ত করেননি বলে এ দিন অভিযোগ করেছেন আইনজীবীদের একাংশ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ক়়ড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালতে। পুলিশি ঘেরাটোপে বিভিন্ন জেল থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয় দুই মহিলা-সহ ধৃত ২৫ জনকে। এ দিন মামলার প্রথম সাক্ষী, ওই পুলিশ অফিসারের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। দুপুর তিনটে নাগাদ নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক কুন্দনকুমার কুমাইয়ের আদালতে রুদ্ধদ্বার বিচার শুরু হয়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে সাক্ষ্যগ্রহণ চলে।
খাগড়াগড় মামলায় মোট সাক্ষী ৬২৯ জন। এখনও ৬২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি।