অনুব্রতকে সভাপতি পদে রেখেই পঞ্চায়েত ভোটে লড়াতে চায় তৃণমূল। ফাইল চিত্র।
সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছেন গত কয়েক মাস। তা সত্ত্বেও তাঁকেই সভাপতি পদে রেখে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করতে চায় তৃণমূল। তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ১১ অগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর ১৪ অগস্ট বেহালা পশ্চিমে জনসভা করতে গিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে না থাকলেও তিনি যে ভীষণ ভাবেই রয়েছেন তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশের ধারণা।
তাঁকে গুরুত্ব দিয়ে সভাপতি পদে রেখে দেওয়ার পক্ষপাতী বাংলার শাসকদল। শুক্রবার ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে বীরভূম জেলা থেকে নির্বাচিত তৃণমূলের ১০ জন বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, বীরভূম থেকে তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী বিধায়করা অনেকেই তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। মূলত ৪ জন বিধায়কের হাতে সংগঠনের রাশ দিয়েছে দল।
রামপুরহাটের বিধায়ক ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ,বীরভুম জেলা পরিষদের সভাপধিপতি তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহর কাঁধে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এই চার বিধায়কের সঙ্গেই জেলা সংগঠন নিয়ে পৃথক ভাবে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে বৈঠকে নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলা বা ব্লক কমিটি থেকে কোনও নেতাকে পুর্নবাসন ছাড়া যেন বদল না করা হয়। জেলা বা সাংগঠনিক রদবদলে কাউকে বাদ না দেওয়া হয়। বিশেষ করে সভাপতির অনুপস্থিতিতে কেউ যেন দলে নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় রামপুরহাটের বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় লেখা হয়েছিল। অনবধানবশত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)