Kaushik Sen

ধর্নায় বসা চাকরিপ্রার্থীদের মিষ্টি খাওয়ালেন কৌশিক, সঙ্গে স্ত্রী রেশমি, ঋদ্ধি হাজির বান্ধবী সুরঙ্গনাকে নিয়ে

রবিবার ৫৭৪তম দিনে পড়ল চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না। তাঁদের দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন কৌশিকরা। মিষ্টি নিয়ে এসেছেন ধর্না মঞ্চে। চাকরিপ্রার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানাতেই এমন উদ্যোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০৬
Share:

চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে কৌশিক সেন ও তাঁর পরিবার। —নিজস্ব চিত্র

লক্ষ্মীপুজোর দিন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চে সপরিবার এলেন অভিনেতা কৌশিক সেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে ঋদ্ধি, স্ত্রী রেশমি এবং ঋদ্ধির বান্ধবী সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য তাঁরা মিষ্টি নিয়ে এসেছিলেন।

Advertisement

রবিবার ৫৭৪তম দিনে পড়ল চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না। তাঁদের দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন কৌশিকরা। শনিবার রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল উপলক্ষে প্রশাসনের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। সে দিন কার্নিভালে আসেননি কৌশিক, ঋদ্ধিরাও। বদলে তাঁরা পরের দিন মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছেন ধর্না মঞ্চে। চাকরিপ্রার্থীদের দাবির প্রতি নিজেদের সমর্থন জানাতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইনকে এ প্রসঙ্গে কৌশিক সেন জানান, লক্ষ্মীপুজোর দিন ধর্নামঞ্চে অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁর স্ত্রী রেশমির। সেই অনুযায়ী তাঁরা রবিবার এসে কথা বলেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে। কৌশিক বলেন, ‘‘আমি এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলব। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিনয়ের সূ্ত্রে আমার বন্ধু। তবে বন্ধু হলেও শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে যথাযথ অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েই দেখা করব। আমাদের পরিবারের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগের দাবি তুলে ধরব।’’

Advertisement

কৌশিক সেন আরও বলেন, ‘‘কার্নিভালের সময় অবস্থান সরিয়ে নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যেমন চাকরিপ্রার্থীরা সহযোগিতা করেছেন, তেমন প্রশাসনেরও উচিত কর্তব্য পালন করা।’’ ২০১৬ সালের এসএলএসটি প্রার্থীদের তরফে জানানো হয়, কৌশিক সেনরা এসে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। টলি তারকাদের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে যত দিন না নিয়োগ পাচ্ছেন, তত দিন এই অবস্থান কর্মসূচী চালিয়ে যাবেন বলেও জানান চাকরিপ্রার্থীরা।

এ প্রসঙ্গে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন ঋদ্ধি সেন। সেখানে শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ‘কাল ছিল কার্নিভাল। আজ লক্ষ্মীপুজো। না, এটা কার্নিভালের দৃশ্য না, লক্ষ্মীপুজোরও না। এখানে ঢাকের আওয়াজ আসে না, আসে না হাজার হাজার ওয়াটের আলোর রোশনাই, পড়ে না লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ। দেখা যায় না তারকাদের উল্লাস বা ঢাকের তালে মৃদু ছন্দে নাচ। ইউনেস্কো হেরিটেজের স্বীকৃতির ছোঁয়া মেটাতে পারেনি খিদের জ্বালা।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement