—ফাইল চিত্র।
বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব শাবানা আজমি এবং বহুজন আন্দোলনের নেতা প্রকাশ যশবন্ত অম্বেডকরকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড সমাবেশ দেখার পরে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তাদের সমাবেশকে বামপন্থী চৌহদ্দির মধ্যেই রাখতে চাইছেন রাজ্যের বাম নেতৃত্ব। অম্বেডকরের ভরিপা বহুজন মঞ্চ ছাড়া বাইরের কোনও দলকে আমন্ত্রণের কথা এখনও ভাবা হচ্ছে না।
ব্রিগেডের প্রস্তুতি এবং লোক আনার লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবার আলিমুদ্দিনে বসেছিল বামফ্রন্টের বৈঠক। জেএনইউ-এ বিক্ষোভ-আন্দোলনের জন্য যে ভাবে সিপিআইয়ের ছাত্র নেতা কানহাইয়ার বিরুদ্ধে ‘দেশদ্রোহিতা’র অভিযোগে ১২ হাজার পাতার চার্জশিট তৈরি হয়েছে, তার পরে তাঁর বক্তৃতা শুনতে তরুণ প্রজন্ম খুবই আগ্রহী বলে বৈঠকে মত দেন শরিক নেতৃত্বের একাংশ। রাজ্য় সিপিআইয়ের নেতা স্বপন বন্দ্যোপাধায়, মঞ্জুকুমার মজুমদারেরা গোড়ায় মৃদু ভিন্নমত পোষণ করলেও পরে আর আপত্তি করেননি। গণনাট্য আন্দোলনে দীর্ঘ দিনের শরিক শাবানা এবং সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব অম্বেডকরের নাতি প্রকাশের নামও রাখা হচ্ছে আমন্ত্রিতের তালিকায়। সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি এবং অন্য বাম দলের সাধারণ সম্পাদকেরা ছাড়া রাজ্য সিপিএমের তরফে বক্তা থাকবেন আরও দু’জন— সূর্যকান্ত মিশ্র ও মহম্মদ সেলিম। সমাবেশে সভাপতি বিমান বসুই।
বাংলার কংগ্রেসকে কি ব্রিগেডে ডাকা হবে? সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘বামফ্রন্টের সমাবেশে কংগ্রেসকে ডাকলে ফ্রন্টের মধ্যেই আপত্তি উঠবে। তা ছাড়া, রাজ্যে ১৭ বাম দলের আন্দোলনের সঙ্গে থাকলেও তৃণমূলের ব্রিগেডে যারা গিয়েছিল, সেই এনসিপি বা আরজেডি-কেও আমাদের ব্রিগেডে ডাকা অর্থহীন।’’