ফাইল চিত্র।
কলেরার জীবাণু পাওয়া গেল কামারহাটি থেকে পাঠানো নমুনায়। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনটি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় নাইসেডে। সেই নমুনাতে কলেরার জীবাণু মিলেছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। ডায়রিয়াতে বুধবার দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার কারও মৃত্যু হয়নি বলেও জানান তিনি।
সোমবার থেকে কামারহাটির বহু মানুষ ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবারও ৩৫ জনকে পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। নাইসেডে পাঠানো মলের তিনটি নমুনাতে কলেরার জীবাণু মিলেছে। এটি ক্লাসিক্যাল কলেরা নয়। তবে ওই জীবাণু (ভিব্রিও কলেরি ০১ ওগাওয়া) কলেরা শ্রেণির মধ্যেই পড়ে বলে জানান অজয়।
সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে মোট ২৯৭ জনকে ভর্তি করানো হয়েছিল। তার মধ্যে বেশ কয়েকজনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। যে ১৪৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তার মধ্যে ২১ জনকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বাকি ১২৮ জনের চিকিৎসা চলছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। চারটি ওয়ার্ডে অসুস্থদের চিকিৎসা করা হচ্ছে।জেনারেল মেডিসিন, বক্ষ বিভাগ, সার্জারি-সহ একাধিক বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে ডায়রিয়া ম্যানেজমেন্ট দল তৈরি করা হয়েছে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে। ইএসআই হাসপাতালে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ৪০ জন মতো ভর্তি রয়েছেন।
এ ছাড়াও কামারহাটির যে এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেখানে তিনটি ক্যাম্প-সহ মোট ১০টি মেডিক্যাল ক্যাম্প করে চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে জানান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা। ১৬০০০ ওআরএস এবং হ্যালোজেন ট্যাবল্যাট বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন স্বাস্থ্য ভবনের প্রতিনিধিরাও। স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তা দীপঙ্কর মাজির নেতৃত্বে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা,সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ছিলেন এই দলে। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে বৈঠক করে চিকিৎসা প্রোটোকলও তৈরি করা হয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে গঠন করা হয়েছে র্যাপিড রেসপন্স দলও।