—নিজস্ব চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলায় যুক্ত সকলেরই টিকাকরণ করা হবে। শুক্রবার সাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকের পর জানাল কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসন। করোনার তৃতীয় তরঙ্গের মধ্যেই চলতি বছরে এই মেলা হওয়ার কথা। সে জন্য সাগরে আসা মানুষজন যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, তা নিয়ে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে প্রশাসনের।
প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক পি উলগানাথন, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, ডায়মন্ড হারবারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায়-সহ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, পূর্ত, দমকল এবং সেচ দফতরের আধিকারিক। কোভিডবিধি মেনে সাগর মেলা আয়োজনে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। মেলার সঙ্গে যুক্তদের সকলকেই যাতে করোনার টিকা দেওয়া যায়, সে পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। সে জন্য আগামী সপ্তাহে জেলা জুড়ে তিন দিন জোরদার ভাবে টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
সাগর মেলার সময় স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে পদক্ষেপ করা ছাড়াও জেলার সেচ, জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি-সহ বিভিন্ন দফতর যাতে সমন্বয় সাধন করে কাজ করে, সে দিকেও নজর রাখা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। বৈঠকে মুড়িগঙ্গা নদীর ড্রেজিংয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ড্রেজিং শেষ করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক পি উলগানাথন। তিনি জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহ থেকে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে। উলগানাথন বলেন, “এ বছর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সাগর মেলা অনুষ্ঠিত হবে৷ তাই শুক্রবার প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি সেচ, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি-সহ বিভিন্ন জরুরি বিভাগগুলি একত্রে কাজ করবে৷”
সাগরতটে ভাঙনের সমস্যা দীর্ঘদিনের। শুক্রবারের বৈঠকে ভাঙন নিয়েও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে ইয়াসের পর কী ভাবে মেলা চত্বর আগের মতো সাজিয়ে তোলা হবে, তা নিয়েও আলোচনা করেন জেলাশাসক। ভাঙন মেরামতির জন্য সেচ দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মেলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দফতরের সমন্বয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, “আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার জন্য প্রথম প্রস্তুতি বৈঠক আজ (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হল। বৈঠকে ড্রেজিং, ভ্যাকসিন ও ভাঙনের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।”