শুভেন্দু অধিকারীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। —ফাইল চিত্র
কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দাবি, ‘রাজনৈতিক কথা’ হয়নি। শুধু শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিনিময়। কিন্তু সেই শুভেচ্ছার মধ্যেও ‘বার্তা’ ছিল। মঙ্গলবার ৫১ বছরে পদার্পণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই উপলক্ষেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেছিলেন রাজ্য বিজেপি-র পর্যবেক্ষক। এমনই দাবি তাঁর। তবে রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, এই শুভেচ্ছাবার্তার মধ্য দিয়ে শুভেন্দুর বিজেপি-তে যোগদান আরও ত্বরাণ্বিত হল। কারণ, শুভেন্দুর এত বছরের জন্মদিনে কখনও বিজেপি-র তরফে কেউ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে খবর নেই।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের সভায় মঙ্গলবার নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘’১০ বছর সুযোগসুবিধা নিয়ে ভোটের সময় পাল্টে যাচ্ছে!যারা বিজেপি-র সাহায্যকারীদের উচিত শাস্তি দিন।’’ ঘটনাচক্রে, শুভেন্দু রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি অবশ্য ১০ বছর নয়। গত চার বছর মন্ত্রী। ২০১৬ সালের ভোটে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে শুভেন্দু বিধায়ক হন এবং তার পর রাজ্যের মন্ত্রী। তার আগে ২০০৯ থেকে তিনি তমলুকের সাংসদ। তারও আগে ২০০৬ থেকে শুভেন্দু দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক ছিলেন।
মঙ্গলবার কৈলাস-শুভেন্দু ফোনালাপের পরেই এই জল্পনা আরও বেড়েছে যে চলতি সপ্তাহেই তৃণমূলের এই নেতা বিজেপি-তে যোগদান করবেন। শুভেন্দু অনুগামীদের একাংশের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার তিনি দিল্লি যেতে পারেন। তার পর শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আসবেন রাজ্যে। শনি এবং রবিবার— দু’দিনের সফরে অমিতের রাজ্যে আসার কথা। তার মধ্যে শনিবার তাঁর সভা করার কথা মেদিনীপুর শহরের কলেজ ময়দানে। জল্পনা, সেই সভাতেই শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন। যদিও মেদিনীপুরে অমিতের সাংগঠনিক বৈঠক বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। রবিবার বোলপুরে রোড শো করার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত নয়, কোচবিহারে বৈঠকে নেতাদের বার্তা মমতার
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর ‘বহিরাগত’ ও ‘দলতন্ত্রে’র কটাক্ষের জবাব দিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য
আবার শুভেন্দু-অনুগামীদের অন্য একাংশের দাবি, রাজ্যে নয়, শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দেবেন দিল্লিতেই। হয় তা হবে অমিতে সফরের আগে অথবা সফরের পরে। তবে যখনই য়োগ দিন না কেন, শুভেন্দু তার আগে তৃণমূলের বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে চান। বিধানসভার স্পিকারের সামনে সশরীরে হাজির হয়ে তাঁকে ই্সতফা দিতে হবে। তার জন্য স্পিকারকেও উপস্থিত থাকতে হবে। স্পিকারের সময় যদি না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে শুভেন্দুর যোগদান কি পিছিয়ে যাবে? ‘দাদার অনুগামী’-দের বক্তব্য, সেক্ষেত্রে তিনি প্রথমে ইমেলে ইস্তফা পাঠাবেন বা য়োগদানের সময মৌখিক ভাবে তৃণমূলের সদস্যপদ এবং বিধায়ক পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করবেন। পরে স্পিকারের কাছে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন।