রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অনাড়ম্বর জীবন কাটান তা কার্যত মেনে নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সরাসরি কারও নাম না করে কৈলাসের কটাক্ষ, “দিল্লিতে যেমন বড় পাপ্পু, এখানেও তেমন এক ছোট পাপ্পু আছেন। মুখ্যমন্ত্রী চারশো টাকার শাড়ি পরেন, দুশো টাকার চটি পরেন। আর ছোট পাপ্পু চার লক্ষ টাকার সোনার চশমা পরেন, ১০-১৫ হাজার টাকার জুতো পরেন!”
শুক্রবার নদিয়ার চাকদহে সভা করেন কৈলাস। সেখানে ‘ছোট পাপ্পু’ খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, “উনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।” কৈলাসের দাবি, ছ’মাস বাদে রাজ্যে বিজেপি সরকার আসতে চলেছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সুরেই পুলিশকে তাঁর হুঁশিয়ারি, “যে সব পুলিশকর্মী মুখ্যমন্ত্রীর চটি বয়ে বেড়াচ্ছেন, তাঁরা জেলে ঢুকে যাবেন।”
গরু পাচারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজ্যে তদন্তে তৎপর হয়েছে সিবিআই। সেই বিষয়ে ইঙ্গিত করে কৈলাসের মন্তব্য, “এক পাপ্পু বলেন, আলুতে সোনা আছে। আর এক পাপ্পু বলেন, গরুতে সোনা।” বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খান সভায় উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল অবশ্য কৈলাসের বক্তব্যকে আমল দিতেই চায়নি। দলের এক শীর্ষ নেতার মন্তব্য, “যাদের পায়ের তলায় জমি নেই, তাদের এই রকম প্রলাপ আউড়ানো ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে! চালু প্রবাদ আছে, ‘পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়’। এ সব কথা শুনলে বারবার সেটাই মনে পড়ে।”
আরও পড়ুন: দেশবিরোধী কোনও সংগঠনের ফাঁদ এড়ান, বললেন ইমামরা
আরও পড়ুন: বিধায়কদের নিয়ে রবিবার ফের রিভিউ বৈঠকে অভিষেক