ফাইল চিত্র।
দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু রাজ্যের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নতুন বেতন-কাঠামো চালু হয়নি। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেও এই বিষয়ে কোনও সদর্থক উত্তর না-পেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা) ১৯-২০ নভেম্বর কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। কেন এই কর্মবিরতি, সেটা আগে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের জানানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, ওই দু’দিন কর্মবিরতির পরেও যদি সরকার কোনও সদর্থক পদক্ষেপ না-করে, তা হলে জানুয়ারিতে লাগাতার কর্মবিরতির রাস্তাই নেওয়া হবে। আগে টানা দু’দিনের কর্মবিরতির কারণ ব্যাখ্যা করে প্রচারপত্র ছাপিয়ে তাঁরা বিষয়টি অভিভাবকদের জানাবেন। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলিকে একই ভাবে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা। জুটা-র এই আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা এবং আবুটা-র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ইতিমধ্যে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে সব রাজ্যে কলেজ-শিক্ষকদের নতুন বেতন-কাঠামো চালু করতে বলেছে। অধিকাংশ রাজ্য তা দিতে শুরু করলেও এই রাজ্য এখনও তা দেয়নি। এ দিন কলকাতা, রবীন্দ্রভারতী, যাদবপুরের শিক্ষক সমিতি, ওয়েবকুটা-র প্রতিনিধিরা একই দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুর, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশই এখনও সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে বেতন-কাঠামো চালু করেনি বলে জানান পার্থপ্রতিমবাবু। তিনি
বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছি। এই নিয়ে সরকার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি বলেই তিনি আমাদের জানিয়েছেন।’’ এর আগে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও উত্তর
মেলেনি বলে জানান পার্থপ্রতিমবাবু। তাঁরা এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আবার চিঠি দেবেন।