বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ফাইল চিত্র।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বকেয়া না মেটানোয় রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের রীতিমতো তিরস্কার করল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার এজলাসে উপস্থিত কয়েক জন জেলাশাসক এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকের উদ্দেশে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার মন্তব্য, ‘‘বছরের পর বছর এঁরা (স্কুল শিক্ষক) কাজ করেছেন। এখন আর্থিক পাওনা মেটানোর সময়ে হেনস্থা করছেন কেন?’’
সরকারি অফিসারেরা যে ভাবে এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে ফাইল চালাচালির সংস্কৃতি তৈরি করেছেন, তা নিয়েও রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বিচারপতি মান্থা। এই ধরনের ‘আমলাতন্ত্র’ আদালত যে মানবে না, তাও স্পষ্ট জানিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘‘সরকারি বিভিন্ন বিভাগের ফাইল স্থানান্তরের জন্য শিক্ষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন না।’’
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সরকার মেটাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলছে। কলকাতা হাই কোর্ট ডিএ মেটানোর নির্দেশ দিলেও তা পালন না-করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে রাজ্য। সেখানেও ক্রমশই লড়াই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ডিএ-র দাবিতে পথেও নেমেছেন কর্মীরা। এ বার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পাওনা দেওয়া নিয়েও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কোর্টের নির্দেশ পালন না করার অভিযোগ উঠেছে।
কোর্টের খবর, মামলাকারী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট। কিন্তু তা পালন করেননি আধিকারিকেরা। এ দিন বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, যে শিক্ষকেরা শিক্ষাদান করেন, অবসরের পরে তাঁদের প্রাপ্য মিলছে না, এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এ দিন বকেয়া দ্রুত মেটাতে আরও এক বার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।