Justice Abhijit Gangopadhyay

সাক্ষাৎকারের প্রতিলিপিতে কী আছে? সুপ্রিম কোর্টের কাছে নথি চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরাতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর পর শুক্রবার দুপুরে নিজের এজলাসে বসেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:১৩
Share:

শুক্রবার দুপুর ২টো ২২ মিনিটে হাই কোর্টে নিজের এজলাসে বসেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলা চলাকালীন একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সাক্ষাৎকারের জন্যই শুক্রবার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পর সরব হলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সাক্ষাৎকারের ইংরাজি অনুবাদ এবং যে হলফনামা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়েছিল, তা চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শীর্ষ আদালতের সেক্রেটারি জেনারেলকে ওই নথি পাঠাতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।

Advertisement

শুক্রবার দুপুর ২টো ২২ মিনিটে হাই কোর্টে নিজের এজলাসে বসেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরই তিনি নির্দেশ দেন যে, তাঁর সাক্ষাৎকারের ইংরাজি অনুবাদ এবং কলকাতা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল যে হলফনামা পাঠিয়েছিলেন, তার প্রতিলিপি চেয়ে পাঠাতে হবে। বিচারপতি জানান যে, তিনি রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নিজের চেম্বারে অপেক্ষা করবেন। এই সময়ের মধ্যে তাঁকে ওই প্রতিলিপি পাঠাতে হবে। এই নির্দেশনামা অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টে পাঠাতে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

এই নির্দেশ দেওয়ার পরই দুপুর ২টো ৪৭ মিনিটে এজলাস থেকে উঠে যান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে, হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ডাকেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ঘিরে সরগরম থেকেছে রাজ্য রাজনীতি। নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলায় তাঁর বিভিন্ন নির্দেশ নজর কেড়েছে। এই আবহে একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যা ঘিরে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হয়। গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্কুলে নিয়োগের দুর্নীতির মামলা শোনার সময় সেই মামলা নিয়ে টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যা শুনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, বিচারপতিরা কোনও ভাবেই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। উনি যদি সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে নতুন কোনও বিচারপতিকে দায়িত্ব দিতে হবে। শুক্রবার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরাতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement