আনন্দবাজার অনলাইনের বছরের বেস্ট অনুষ্ঠানে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুশল বিনিময় কুণাল ঘোষের। ফাইল চিত্র
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ শোনার পর নিজের এজলাসে বসেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘কুণাল ঘোষকে আমার প্রণাম জানাবেন।’’
শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে অভিষেক সংক্রান্ত মামলাটি সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশের পর দুপুর ২টো ২৪ মিনিট নাগাদ কলকাতা হাই কোর্টে নিজের এজলাসে বসেন বিচারপতি। প্রথমে তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি চান। তার পরেই তোলেন কুণালের প্রসঙ্গ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কুণাল ঘোষকে আমার প্রণাম জানাবেন। তিনি যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তা পুরোপুরি মিলে গিয়েছে। তিনি এত বড় ভবিষ্যৎদ্রষ্টা তা আমার জানা ছিল না। তাঁর পুরো কথা মিলে গিয়েছে।’’ এ কথা বলেই এজলাস ছেড়ে উঠে যান বিচারপতি।
অন্য দিকে, বিচারপতির এই মন্তব্যের বিষয়টি কুণাল প্রথম শোনেন আনন্দবাজার অনলাইনের কাছ থেকেই। বিচারপতির কথা শুনে কিছুটা থেমে কুণাল পাল্টা শ্রদ্ধা জানান। বলেন, ‘‘গোটা জিনিসটার মধ্যে আমি কোনও জয়-পরাজয় দেখছি না। আদালত, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং সব বিচারপতির প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু মামলার বাইরে গিয়ে আমার দলনেতা-নেত্রীকে আক্রমণ করলে দলের মুখপাত্র হিসাবে আমার কর্তব্যটুকু পালন করতে হয়েছিল শুধু।’’
কুণালের কোন ‘ভবিষ্যদ্বাণী’র কথা বলেছেন বিচারপতি? বিভিন্ন সময়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ প্রসঙ্গে নানা রকম মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল মুখপাত্র কুণালকে। সম্প্রতি কুণাল বলেছিলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যের পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উচিত বিচারব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে সরাসরি রাজনীতি করা। বিচার চালানোর কোনও নৈতিক অধিকার তাঁর নেই।’’ তবে কুণালের সেই মন্তব্যকেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ বলেছেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি বিচারপতি।