Justice Abhijit Gangopadhyay

সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে, রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না? মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

শুক্রবার সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। পুরো ঘটনা তিনি বিচারপতির সামনে বর্ণনা করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:১১
Share:

সন্দেশখালিতে ভেঙে দেওয়া হয়েছে ইডি আধিকারিকদের গাড়ি। (ডান দিকে) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ‘বাধা দেওয়া’ এবং তাদের উপর ‘হামলা’র ঘটনায় মুখ খুললেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার এই বিষয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। পুরো ঘটনা তিনি বিচারপতির সামনে বর্ণনা করেন। সব শুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, “পুলিশ কী করছিল, পুলিশ কি ঘটনাস্থলে যায়নি?” তার পরে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না, রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?” এই বিষয়ে বিচারপতির সংযোজন, “তদন্তকারী সংস্থা আক্রান্ত হলে কী ভাবে তদন্ত হবে?”

Advertisement

সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “শুনলাম, আপনাদের লোকেদের মেরেছে। আপনারা কী করছিলেন? ওদের সঙ্গে গুলি-বন্দুক থাকে না? চালাতে পারে না?” ওই আইনজীবী তখন জানান, ইডির অফিসারদের মেরেছে। দু’জন জখম হয়েছেন। বিচারপতি তখন বলেন, “দু’জন অফিসারকে মেরেছে, ২০০ জনকে পাঠান।”

তৃণমূল অবশ্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য নিয়ে তাঁর তীব্র সমালোচনা করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তা আপত্তিকর এবং এক্তিয়ার বহির্ভূত। বিচারপতির চেয়ারকে উনি অপমান করছেন। ওঁর উচিত চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসা। না হলে প্রধান বিচারপতির উচিত ওঁকে সতর্ক করা।”

Advertisement

শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়ে ইডি। মাথা ফাটে এক ইডি আধিকারিকের। মারমুখী জনতার চাপে পিছু হটতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির আধিকারিকদের। সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। বেশ কয়েকটি রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়।

রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় তদন্তের সূত্রে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তবে সেই বাড়ি তালাবন্ধ ছিল। অনেক ক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কারও সাড়া মেলেনি। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর সেই বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই সময়েই বেশ কয়েক জন স্থানীয় ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তাঁরা নিজেদের তৃণমূল নেতার অনুগামী পরিচয় দিয়ে ইডি আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জনওয়ানদেরও ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। তার পর ইডি আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। তবে তার পরেও থামেনি বিক্ষুব্ধ জনতা। ইট-পাটকেল হাতে রাস্তায় নামেন বেশ কয়েক জন। বেশ কয়েকটি রাস্তা অবরোধ করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement