কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় তাঁর একের পরে এক নির্দেশ রাজ্যে হইচই ফেলে দিয়েছে। এ বার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করলেন, তাঁর কাজের পদ্ধতি ‘আলাদা’। তিনি গরিব মানুষের কথা ভাবেন।
শনিবার শিলিগুড়ির দাগাপুরে একটি বেসরকারি আইন কলেজের কর্মসূচিতে যোগ দেন বিচারপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এটা ঠিক যে, আমার কাজের ধরন হাই কোর্টের অন্য বিশিষ্ট বিচারপতিদের থেকে কিছুটা আলাদা।’’ একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি গরিব মানুষের হৃদয় স্পর্শ করার চেষ্টা করি, যাঁদের জন্য রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘এই সব মূঢ় ম্লান মূক মুখে দিতে হবে ভাষা...’।’’ বিচারপতির দাবি, ‘‘মনে করি, আদালতের বিচারক হিসাবে এটা আমার কর্তব্য। দেশের সংবিধান মেনে শপথ নিয়েছি, তাঁদের সে অনূভূতি দিতে, যে তাঁরাও ভারতীয়। দেশের ধনীদের জন্যই বিচার ব্যবস্থা রয়েছে— এমন নয়। গরিব মানুষ যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জন্যও বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। যাঁরা হাই কোর্টে আসতে পারেন না, হয়তো একাধিক বার আসতে পারেননি, আমি তাঁদের মন, তাঁদের কঠিন সমস্যাগুলিও বোঝার চেষ্টা করি।’’
ঘটনাচক্রে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শিলিগুড়িতে রয়েছেন জেনে এ দিন ফাঁসিদেওয়ার গয়াগঙ্গা চা বাগানের এক তরুণী চাকরি না পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অভিযোগ নিয়ে দেখা করতে চান। কর্মসূচি সেরে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি। ওই তরুণী মারিয়া অসুনতা তিরকির অভিযোগ, এলাকার একটি হাই স্কুলে চাকরি প্রার্থী হিসাবে প্যানেলে প্রথম ছিলেন তিনি। অথচ, দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীকে এক নম্বরে এনে, চাকরি দেওয়া হয়েছে। তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। সব শুনে বিচারপতি জানান, মামলা হলে, বিষয়টি দেখা যেতে পারে। তা ছাড়া, প্রাথমিক স্কুলের মামলাগুলি তিনি দেখছেন। হাই স্কুল সংক্রান্ত মামলা দেখছেন না। তবে মামলা হয়ে থাকলে, আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার নম্বর পাঠালে, খোঁজ নেবেন।