কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
অতীতে কখনও নিয়োগ ইন্টারভিউয়ে যুক্ত ব্যক্তিদের এজলাসে ডেকে বয়ান নথিবদ্ধ করেছেন তিনি। কখনও আবার ইন্টারভিউ নিয়ে অভিযোগ করা চাকরিপ্রার্থীকে একেবারে ইন্টারভিউয়ের ধাঁচে প্রশ্ন করেছেন।
এ বার এজলাসে বসেই উত্তরপত্রের গরমিল নিয়ে অভিযোগ তোলা এক চাকরিপ্রার্থীর হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই পরীক্ষায় বিচারপতির চোখে ধরাও পড়ে গিয়েছেন ওই চাকরিপ্রার্থী। অভিযোগ ‘অসত্য’ উল্লেখ করে মামলা বাতিল করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেছেন। মামলাকারী কোনও চাকরি করেন না বলে জরিমানা থেকে রেহাই দিয়েছেন তিনি।
আদালতের খবর, মামলাকারী ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষক পদের এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর অভিযোগ ছিল, তিনি টেট-এ অকৃতকার্য হওয়ায় তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী আবেদন করে উত্তরপত্র হাতে পান। তবে পর্ষদ তাঁর উত্তরপত্র বলে যে নথি দিয়েছে সেটি আসল উত্তরপত্র নয়। শুক্রবার শুনানিতে মামলাকারী উপস্থিত ছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে তাৎক্ষণিক ভাবে একটি সাদা কাগজে বাংলায় তাঁর নাম, রোল নম্বর এবং বিষয়ের নাম লিখতে বলেন। তার পরে সেই লেখাটি পরীক্ষা করেন। দেখা গিয়েছে, উত্তরপত্র এবং ওই সাদা কাগজে, দু’টি হাতের লেখাই অভিন্ন এবং তা খালি চোখেই ধরা যাচ্ছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ে বলেন, ‘‘আবেদনকারী অসত্য কথা বলেছেন। উত্তরপত্রটি তাঁরই এবং উত্তরপত্র দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে তিনি পাশ করতে পারেননি। মামলাকারী যেহেতু চাকরি করেন না তাই তাঁকে জরিমানার নির্দেশ দিলাম না।’’ মামলাটি খারিজ করে দেন তিনি।