বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
সিবিআইয়ের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি মন্তব্য করেন, কিছুই হচ্ছে না। তিনি যে বিষয়টি ‘সহ্য’ করবেন না, তা-ও বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে তলব করব। আমি নিজেকে আটকে রাখতে পারব না। আমি দেখছি। আপনারা না পারলে আমি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বিষয়টি বলব। কারণ, সেখান থেকে আপনাদের নিয়োগ করা হয়।’’
এর আগে কোথায় কোন প্রাথমিক শিক্ষককে নিয়োগ করা হবে, এই সংক্রান্ত মামলায় মঙ্গলবার বিকেলে মানিককে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একই সঙ্গে ইডিকে তাঁর নির্দেশ, এই মামলায় কোনও আর্থিক তছরুপ হয়ে থাকলে তদন্ত করতে পারবে তারা। এর পর সন্ধ্যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ফের এজলাসে গিয়ে বসেন। সেখানে ছিলেন সিবিআই আধিকারিক কল্যাণ ভট্টাচার্য, ওয়াসিম আক্রম খান এবং ইনস্পেক্টর মলয় দাস। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের নির্দেশ দেন, ‘‘এখনই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে চলে যান।’’ সেখানে গিয়ে রাত সাড়ে ৮টা থেকে মানিককে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন তিনি। মামলার বিষয়বস্তু তদন্তকারী আধিকারিকদের বুঝিয়েও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর আরও নির্দেশ, সিবিআই আধিকারিকদের সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে হবে জেল সুপারকে। অসহযোগিতার অভিযোগ এলে আদালত কড়া পদক্ষেপ করবে। মামলাকারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেল সুপারকেও মামলায় যুক্ত করতে হবে। বিচারপতির নির্দেশ মেনে প্রেসিডেন্সি জেলে মঙ্গলবার রাতে পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআইয়ের চার আধিকারিক। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে করা হবে ভিডিয়োগ্রাফি।
বিচারপতির নির্দেশ, প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘পোস্টিং’ সংক্রান্ত এই মামলায় তদন্ত শুরু করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই চাইলে নতুন এফআইআর দায়ের করতে পারে। ইডিকেও নতুন করে তদন্ত শুরু করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। ইডির উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘আর্থিক দুর্নীতি খুঁজে বার করুন।’’