শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
করোনার দাপটে সর্বস্তরের শিক্ষাই বিপর্যস্ত। পাঠ্যক্রম অসমাপ্ত। রাজ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রম শেষ করে, যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমেই মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব অ্যাকাডেমিশিয়ান্স (জেপিএ)। এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে তারা।
লকডাউন শেষে পাঠ্যক্রম কী ভাবে শেষ হবে এবং পরীক্ষা কী ভাবে নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে। কোনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাসূচি তৈরি করছে। চূড়ান্ত সিমেস্টার বা পার্ট থ্রি পরীক্ষা নিয়ে সর্বাগ্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে শিক্ষা শিবিরের একাংশ। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উপাচার্যদের বৈঠকে ঠিক হয়, লকডাউন ওঠার অন্তত এক মাস পরে পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। পরীক্ষার জন্য ক্যাম্পাস স্যানিটাইজ়েশন বা জীবাণুমুক্ত করতে বলা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, পাঠ্যক্রম অসম্পূর্ণ রেখেই কি পরীক্ষা হবে?
সময়ে পাশ সার্টিফিকেট না-পেলে অনেকে (যাঁরা চাকরি পেয়েছেন) অসুবিধায় পড়বেন বলে শিক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন। এই অবস্থায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন, আগের সিমেস্টারের নম্বর, হোম অ্যাসাইনমেন্ট, ফোনে বা ভিডিয়ো-বৈঠকে মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে ফাইনাল পরীক্ষার্থীদের পাশ করানো হবে কি না, তা নিয়ে ভাবছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রেসিডেন্সির সিদ্ধান্ত, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন এবং আগের সিমেস্টারের ফলের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিমেস্টারে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে টাকা পেতে আর্জি ১০ লক্ষ
কিন্তু জেপিএ চায়, পাঠ্যক্রম শেষ করেই খাতায়-কলমে পরীক্ষা হোক। শিক্ষামন্ত্রীকে তিন ধরনের সমাধানসূত্র দেওয়া হয়েছে। জেপিএ-র তরফে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিতত্ত্বের শিক্ষক পার্থিব বসু বলেন, ‘‘রাজ্য ও কেন্দ্রকে অনুরোধ, দেরির জন্য কোনও পড়ুয়ার চাকরি যাতে আটকে না-যায়, সেই ব্যাপারে মধ্যস্থতা করা হোক।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের শক্তি বেড়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের হুঙ্কার