Anurag Thakur

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই বঙ্গে: অনুরাগ

২০১৫ সালের পুরভোটে সল্টলেকে ২০ জন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দমদম ও মেদিনীপুরে চার জন এবং ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে কলকাতা ও জেলায় ১০ জন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৫৬
Share:

কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। —ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে সাংবাদিকেরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ দোলা সেন সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন জমা দিয়েছিলেন।

Advertisement

আজ দোলা রাজ্যসভায় না থাকলেও সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অনুরাগ বলেন, ২০১৭-তে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে লিখিত পরামর্শ পাঠিয়েছে। কারণ, এটা রাজ্যেরই প্রধান দায়িত্ব। প্রেস কাউন্সিল স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে। প্রশ্নের সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যের নাম করে বলতে চাইছিলাম না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এত ঘটনা ঘটছে, যে সেখানে সাংবাদিকেরা নিরাপদ বোধ করছেন না। স্বাধীন ভাবে কাজ করা কঠিন হচ্ছে। রাজ্যের দায়িত্ব হল সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেওয়া।”

অনুরাগ উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালে তিন চিত্র সাংবাদিক প্রহৃত হন উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুরে। ২০১৫ সালের পুরভোটে সল্টলেকে ২০ জন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দমদম ও মেদিনীপুরে চার জন এবং ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে কলকাতা ও জেলায় ১০ জন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন। অনুরাগ বলেন, “গোটা দেশে বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রায় সরকারি প্রকল্পের প্রচারের গাড়ি চললেও একমাত্র বাংলায় তা ভাঙচুর হয়েছে। সাংবাদিকেরা তা নিয়ে লিখতে গিয়ে ভয় পাচ্ছেন।” দোলা পরে বলেন, ‘‘কোনও সাংসদ অনুপস্থিত থাকলে সাধারণত সেই প্রশ্ন নেওয়াই হয় না। চেয়ারম্যান অনুমতি দিয়েছেন, যাতে তৃণমূলের সমালোচনা করা যায়। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে হার এখনও মেনে নিতে পারেনি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement