শঙ্খ ঘোষ ও তরুণ মজুমদার। ফাইল চিত্র।
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রান্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন বাংলার বিদ্বজ্জনেরা। তাঁদের মতে, জেএনইউ-এর ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের উপরে বীভৎস আক্রমণ এবং আক্রমণকারীদের পরিচয় জানা সত্ত্বেও কাউকে পুলিশের গ্রেফতার না করার ঘটনা ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে ন্যক্কারজনক কলঙ্কচিহ্ন’।
শঙ্খ ঘোষ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, তরুণ মজুমদার, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, কৌশিক সেন, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত প্রমুখ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘দেশ, সমাজ বা রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে চিন্তা এবং মত প্রকাশ করা, সঙ্গত অধিকার অর্জনের আন্দোলন করার দায়িত্ব ছাত্র-যুব সমাজের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা দেশের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করারই চক্রান্ত বলে আমরা মনে করি। এর আগেই জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের উপরে অত্যাচারের ঘটনায় এই চক্রান্তের জাল দেখা গিয়েছে। শারীরিক ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আমাদের না থাকলেও আমাদের হৃদয় জেএনইউ-এর ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গেই আছে’। বিশিষ্ট জনেদের বক্তব্য, ‘তাঁরাই (পড়ুয়া) জয়যুক্ত হবেন, এ বিশ্বাস অমাদের আছে’। চন্দন সেন, অনীক দত্ত, অর্ধেন্দু সেন, কল্যাণ সেন বরাট, অম্বিকেশ মহাপাত্র, শুভেন্দু মাইতি-সহ শিক্ষা ও সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা অন্য একটি বিবৃতিতে জেএনইউ পড়ুয়াদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আপনাদের বীরত্বপূর্ণ লড়াইকে সম্মান জানাই। এই জঘন্য শক্তির বিরুদ্ধে আপনারা জয়ী হবেন, বাংলাতেও আমরা তা করতে পারব বলে আমাদের বিশ্বাস’। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাতে থাকা দিল্লি পুলিশ এবং জেএনইউ-এর উপাচার্যের ভূমিকারও তীব্র নিন্দা করেছেন বিশিষ্ট জনেরা।