গয়া বিস্ফোরণের চাঁই পাকড়াও

সোমবার রাতে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর গোয়েন্দারা পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া রোডের বাজেপ্রতাপপুরের চারখুম্বা থেকে আব্দুল রহিম নামে জেএমবির ওই সদস্যকে গ্রেফতার করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯ ০৩:৪৪
Share:

আব্দুল রহিম

দিন সাতেক আগে কলকাতা-হাওড়া থেকে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এক সপ্তাহের মাথায় রাজ্যে ফের ধরা পড়ল ওই জঙ্গি সংগঠনের আরও এক সক্রিয় সদস্য।

Advertisement

সোমবার রাতে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর গোয়েন্দারা পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া রোডের বাজেপ্রতাপপুরের চারখুম্বা থেকে আব্দুল রহিম নামে জেএমবির ওই সদস্যকে গ্রেফতার করেন। রহিম মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের বাসিন্দা। গোয়েন্দাদের দাবি, ওই জঙ্গির ছক অনুযায়ী ২০১৮ সালে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।

লালবাজার জানায়, রহিম জেএমবি-র ধুলিয়ান মডিউলের সদস্য। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরেই ওই মডিউলের জন্ম হয়। ওই মডিউল আল কায়দার মতাদর্শে বিশ্বাসী। জেএমবি-র শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালের নির্দেশেই ধুলিয়ান মডিউল তৈরি করা হয়েছিল। তার সঙ্গে যুক্ত ছিল মৌলানা ইউসুফ, আব্দুল ওয়াহব, কওসরের মতো জঙ্গিরা। এসটিএফ বুদ্ধগয়ার বিস্ফোরণের পরে জেএমবির ধুলিয়ান মডিউলের সদস্যদের ধরপাকড় শুরু করায় সংগঠনের কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ রেখেছিল রহিম। সপ্তাহখানেক আগেই এসটিএফ তিন বাংলাদেশি-সহ নব্য জেএমবি-র চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। তারা আবার আইএসের মতাদর্শে বিশ্বাসী। দুই সংগঠনের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী গোয়েন্দারা।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরে মুর্শিদাবাদ জুড়ে জেএমবি-র সংগঠন গড়ে তোলাই ছিল রহিমের কাজ। ধুলিয়ান, মুর্শিদাবাদ, শমসেরগঞ্জ প্রভৃতি এলাকায় দু’ডজনেরও বেশি যুবককে জামাতুল মুজাহিদিনের সদস্য করেছিল সে। তার কাজ ছিল, ওই যুবকদের মগজ ধোলাই করে তাদের জেহাদি মন্ত্রে দীক্ষা দেওয়া। কিছু দিন চুপচাপ থাকার পরে সম্প্রতি রহিম ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। ধৃতকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানান, মুর্শিদাবাদ-সহ লাগোয়া এলাকায় নতুন করে সংগঠন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিল রহিম। গোটা রাজ্যেই, বিশেষ করে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া ও বর্ধমানের বিভিন্ন অংশে জেএমবি-র দু’টি শাখা সক্রিয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement