সপরিবারে বন্ধুপ্রকাশ। —ফাইল চিত্র
জিয়াগঞ্জের বন্ধুপ্রকাশ পাল এবং তাঁর স্ত্রী-পুত্রকে খুনের ঘটনায় ওই পরিবারের দুই সদস্য ওএক বন্ধু-সহ মোট চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। জিয়াগঞ্জ থানার পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে সিআইডি-ও। শনিবার গোয়েন্দাদের একটি দল জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানে ঘটনাস্থল-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন।
পুলিশ খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ রয়েছে বলে মনে করছে না। এর নেপথ্যে পারিবারিক সমস্যা অথবা আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তারা। আক্রোশের জেরে সুপারি কিলার দিয়ে বন্ধুপ্রকাশ, তাঁর স্ত্রী বিউটি এবং পাঁচ বছরের ছেলে অঙ্গনকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
যদিও বিজেপি তাদের তত্ত্বে অনড়। শিক্ষক খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে বলে মনে করছে বিজেপির একাংশ। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। পরিবার না মানলেও, বন্ধুপ্রকাশ আরএসএস কর্মী ছিলেন বলে দাবি সংগঠনের। একই বক্তব্য বিজেপিরও। এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-একজোট হয়েই পাহাড়ে ফের আন্দোলনের দাবি
জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানের বাসিন্দা শিক্ষক পরিবারের তিন সদস্যকে গলার নলি কেটে খুন করা হয় দশমীর দিন। কে বা কারা খুন করেছে, ঘটনার চারদিন পরেও, তা জানা যায়নি। প্রতিদিন বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা বাড়ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বন্ধুপ্রকাশের বাবার দু’টি বিয়ে। সম্পত্তি ভাগ নিয়ে বাবা এবং ছেলের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না। তা নিয়ে বিভিন্ন মামলাতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন বন্ধুপ্রকাশ। এ বিষয়টিও মাথায় রেখেছে পুলিশ। তাঁর বাবাকেও জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এ ছাড়া বন্ধুপ্রকাশের বন্ধু শৌভিক বণিকের খোঁজ সিউড়িতে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, এই খুনের ঘটনায় তার যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়াও, বন্ধুপ্রকাশের স্ত্রী-র নোট বুক থেকে পাওয়া তথ্য জানা যাচ্ছে, দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। পুলিশ খুনের নেপথ্যে যে সব কারণ থাকতে পারে সব দিকই খতিয়ে দেখছে বলে জানা যাচ্ছে।