এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাসন্তীতে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই দু’জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। ধৃতেরা উভয়েই স্থানীয় বাসিন্দা। ঘটনায় প্রথমে তিন জনকে আটক করেছিল পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এক জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের তরফে এই তিন জনের উপরেই সন্দেহের কথা জানানো হয়েছিল থানায়। তদন্তে নেমে সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। কোনও ত্রিকোণ প্রেমের জেরে এই পরিণতি ঘটেছে কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে।
গত ৯ জানুয়ারি থেকে মেয়ের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে সোমবার বিকেলে বাড়ির অদূরে একটি মাঠ খুঁড়ে তার নগ্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার বিকালে ওই নাবালিকার বাড়ির অদূরে একটি ধানক্ষেতে চাষের জন্য ট্রাক্টর দিয়ে কাজ চলছিল। সেই সময়েই কিশোরীর হাত মাটির উপর দেখতে পান ট্রাক্টরচালক। খবর চাউর হতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় হয়ে যায় ধানক্ষেতে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশও। কিশোরীর দেহ উদ্ধার করতে গেলে এলাকাবাসীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় পুলিশকে। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পরে অবশ্য দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তদন্তে আরও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘটনার পর সোমবার রাত থেকে ঘটনাস্থলটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কিশোরী যে ৯ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল, সে কথা সোমবারই জানান পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালিও। বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল কিশোরীর সঙ্গে ঘটা অপরাধের নিন্দা করেছেন। পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর দাবি, অভিযুক্তেরা যেন ছাড় না পান। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।