ছবি: সংগৃহীত।
এ বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা বেশ কিছুটা আগেই হয়েছে। কিন্তু তার ফল প্রকাশিত হবে উচ্চ মাধ্যমিক, সিবিএসই দ্বাদশ এবং আইএসসি পরীক্ষা শেষের পরে। এই মর্মেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। দ্বাদশ শ্রেণির এই তিন পরীক্ষা শেষের আগে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল বেরোলে পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বাড়তে পারে বলেই মনে করছে তারা।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বাংলার অনেক ছাত্রছাত্রীই প্রতি বছর ভিন্ রাজ্যে চলে যান। এই ধরনের পড়ুয়ারা যাতে পশ্চিমবঙ্গেই পড়াশোনা করতে পারেন, সেই জন্য ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হতে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এ বার প্রায় আড়াই মাস এগিয়ে আনা হয়েছিল। আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, জয়েন্ট হবে ১৯ এপ্রিল। পরে ২ ফেব্রুয়ারি এই প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে বলে জানান জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা। সাধারণত পরীক্ষা শেষের এক মাসের মধ্যেই জয়েন্টের ফল বেরোয়। কিন্তু এ বার তা হচ্ছে না।
বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অনেক আসন ফাঁকা পড়ে থাকছে। রাজ্যের ১১৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন আসন-সংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। গত বার ১৫ হাজারের কিছু বেশি আসন ফাঁকা থেকে গিয়েছিল। কয়েকটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পড়ুয়া পেলেও বাকিদের বহু আসন শূন্য থেকে যাচ্ছে। এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সরকারি ও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তার পরে সিদ্ধান্ত হয়, জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল দেরিতে বেরোনোয় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আগ্রহী বাংলার অনেক ছাত্রছাত্রী ভিন্ রাজ্যে চলে যান। জয়েন্টের ফল আগে বেরিয়ে গেলে এবং কাউন্সেলিং হলে পড়ুয়ারা অন্য রাজ্যের কথা না-ভেবে বঙ্গেরই বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। তা হলে ভিন্ রাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা কমতে পারে।
প্রবেশিকা পরীক্ষা বেশ কিছুটা আগে হয়ে গেলেও জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের এক কর্তা জানান, ফল প্রকাশ করা হবে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ হওয়ার পরে। জয়েন্টের ফলের জন্য পরীক্ষার্থীদের যাতে বাড়তি মানসিক চাপের মধ্যে পড়তে না-হয়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা। এ বার উচ্চ মাধ্যমিক চলবে ১২ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ। মার্চেই শেষ হয়ে যাচ্ছে সিবিএসই দ্বাদশ এবং আইএসসি-র বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়াদের পরীক্ষা।