আইসি জয়ন্ত পালের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ‘রহস্যময়ী’র ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
হুগলির চণ্ডীতলা থানার আইসি-র দায়িত্ব থেকে সরানো হল গুলিবিদ্ধ জয়ন্ত পালকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেলেন ওই এলাকার সার্কল ইন্সপেক্টর (সিআই) সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, থানা থেকে বেরোলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে যাওয়াই নিয়ম। জয়ন্ত তা করেননি। কাউকে কিছু না-জানিয়েই কর্তব্যরত অবস্থায় চণ্ডীতলা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন ভিন্ জেলায়। সেই কারণে তাঁকে চণ্ডীতলার আইসি-র দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে বলে খবর রাজ্য পুলিশ সূত্রে।
বুধবার রাত ১১টা নাগাদ হাওড়ার ঘোষপাড়া পেট্রল পাম্পের সামনে গুলিবিদ্ধ হন জয়ন্ত। তিনি আপাতত হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জয়ন্তের বাঁ হাতে গুলি লেগেছে। ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে হাওড়ার দুই বাসিন্দা ছিলেন। ছিলেন আরও এক জন। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার বাসিন্দা। এ ছাড়া এক যুবতীও ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাঁর উপস্থিতি নিয়েই রহস্য তৈরি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সাদা গাড়ির সামনে যখন লুটিয়ে পড়েছিলেন জয়ন্ত, সেই সময় গাড়ির ভিতরে ছিলেন ওই যুবতী। তাতেই নানা প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন, ওই যুবতী কি জয়ন্তকে চেনেন? চিনলে কী ভাবে? গোটা ঘটনায় তাঁর কী ভূমিকা? এই সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। হাওড়া সিটি পুলিশ নিজেদের মতো তদন্ত করছে। পাশাপাশি, তদন্তে নেমেছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের চার সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম (তথ্যানুন্ধানী দল)। সেই দল বৃহস্পতিবার শিবপুর থানাতেও গিয়েছে। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপারের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা তথ্যানুসন্ধানী দলের। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে খবর জেলা পুলিশ সূত্রে। রিপোর্টের ভিত্তিতে ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হতে পারে বলেও খবর।