জহর সরকার। ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম মনোনীত করেছে তৃণমূল। শনিবার রাতে এ প্রসঙ্গে নিজের প্রথম প্রতিক্রিয়া নেটমাধ্যমে জানিয়েছেন প্রসার ভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা জহর সরকার। তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন নীতির বিরোধিতা করে তিনি মেয়াদ ফুরনোর আগেই প্রসার ভারতীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সেটা ছিল সংসদের বাইরে থেকে প্রতিবাদ। এ বার সংসদের ভিতরে থেকে মোদী-বিরোধিতা করতে চান বলেই তিনি প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন।
তৃণমূল যে তাঁকে রাজ্যসভায় প্রার্থীপদে মনোনীত করছে, এ কথা শনিবারই জানতে পেরেছেন বলে ফেসবুকের ওই পোস্টে লিখেছেন জহর। তিনি লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আরও দু’টি রাজনৈতিক দলের বিধায়ক রয়েছেন। বিজেপি এবং আইএসএফ। আমার ধারণা, ওই দু’টি দল আমাকে পছন্দ করে না।’
২০১৬-র নভেম্বরে প্রসার ভারতীর অধিকর্তা পদ থেকে ইস্তফা দেন জহর। শনিবারের পোস্টে জহর লিখেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদীর একনায়কতন্ত্র, হিন্দুত্ব এবং দেশ জুড়ে অর্থনৈতিক অব্যবস্থার কারণেই আমি পাঁচ বছরের মেয়াদ ফুরনোর আগেই প্রসার ভারতীর অধিকর্তার পদ থেকে ইস্তফা দিই। এর পর থেকে এনডিএর বিরুদ্ধে আমার বিশ্লেষণমূলক প্রচার অনেক বেশি ধারালো এবং ধারাবাহিক করেছি।’ তবে এ বার তিনি সংসদের ভিতর থেকে মোদীকে আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি আরও লিখেছেন, ‘যে ভাবে মানুষের অধিকারকে দমন করা হচ্ছে, যে ভাবে সাম্প্রদায়িকতার জিগির তোলা হচ্ছে, এ সবের বিরুদ্ধেই লড়াই চালাব। শুধু তাই নয়, দেশের অর্থনীতি, বেকারিত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং করোনার মতো বিষয়গুলি নিয়ে মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখব।’
অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার জহরের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের সম্পর্ক আগাগোড়াই ভাল। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে মমতা সরকারের টানাপড়েনের সময়, আলাপনেরই পক্ষ নিয়েছিলেন তিনি। আলাপনকে দিল্লিতে তলব করায় মোদী-শাহ পাগল হয়ে গিয়েছেন বলে টুইটারে মুখ খুলেছিলেন। সেই সময় তিনি লিখেছিলেন, ‘মোদী-শাহ কি পাগল হয়ে গিয়েছেন? এ বার তৃণমূল তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করায় তিনি সকলের সমর্থনও চেয়েছেন ওই ফেসবুক পোস্টে।