সপ্তাহের প্রথম দিনে ঠান্ডা কিছুটা কমেছে কলকাতায়। রবিবারের তুলনায় ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সপ্তাহের শেষে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
তবে শহরে পারদ ঊর্ধ্বমুখী হলেও জেলায় জেলায় ঠান্ডায় খামতি নেই। একাধিক জেলায় পৌষের পারদ নেমেছে হু হু করে। রাজ্যের নানা প্রান্তে সোমবারও জাঁকিয়ে শীত অনুভূত হয়েছে।
সোমবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পরিসংখ্যান বলছে, দার্জিলিংকে টেক্কা দিয়েছে জলপাইগুড়ি। শৈল শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সোমবার ছিল ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জলপাইগুড়িতে তাপমাত্রা তার চেয়ে কম। সেখানে সোমবার পারদ নেমেছে ৬.৪ ডিগ্রিতে।
এর আগে দেখা গিয়েছিল, দার্জিলিংয়ের শীতকে সমানে সমানে পাল্লা দিচ্ছে পুরুলিয়া। তবে সোমবার পুরুলিয়ার তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি ছিল। পারদ ছুঁয়েছিল ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার বাগডোগরার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গ্যাংটকের চেয়েও কম। গ্যাংটকে সোমবার ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে।
ঠান্ডার নিরিখে এর পরেই রয়েছে শ্রীনিকেতন। সেখানে সোমবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া, পানাগড়ের তাপমাত্রাও ছিল ৮ ডিগ্রির ঘরে (৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
একাধিক জেলায় সোমবার পারদ নেমেছিল ৯ ডিগ্রিতে। বালুরঘাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কালিম্পঙে ৯.৩ ডিগ্রি, মালদহে ৯.৬ ডিগ্রি এবং কৃষ্ণনগরে তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার বাঁকুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে দক্ষিণের কাঁথিতেও।
বর্ধমানে ঠান্ডা ছিল বাঁকুড়ার চেয়েও কিছুটা বেশি। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ ছাড়া, আসানসোলে অনুভূত হয়েছে ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
বহরমপুর, দিঘা, হুগলির মগরা, মেদিনীপুর, কলাইকুন্ডা, ব্যারাকপুর এবং উলুবেড়িয়ায় সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। এই এলাকাগুলিতে পারদ নেমেছিল যথাক্রমে ১১ ডিগ্রি, ১১.৪ ডিগ্রি, ১১ ডিগ্রি, ১১.৩ ডিগ্রি, ১১.২ ডিগ্রি, ১১.৪ ডিগ্রি এবং ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
ক্যানিংয়ে সোমবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডায়মন্ড হারবারের তাপমাত্রা নেমেছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
কলকাতা ছাড়া হলদিয়ার তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রির ঘরে। সেখানে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছয় ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে গত কয়েক দিনে। সোমবারও সেই ধারাই অব্যাহত থাকল।
রাজ্যের পাঁচ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। তাদের মধ্যে রয়েছে পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ।
ডিসেম্বরে শীতের খরা চলছিল রাজ্যে। তার পর জানুয়ারি মাস পড়তেই দেখা যায় আবহাওয়ার ভোলবদল। নতুন বছরের প্রথম কয়েক দিন তীব্র শীতে কাবু হয়েছিলেন অনেকেই। গত শুক্রবার কলকাতায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এখনও পর্যন্ত যা মরসুমের শীতলতম।