প্রতীকী ছবি
কোভিড যুদ্ধে লড়ছেন চিকিৎসক, নার্স, প্রশাসনিক আধিকারিক, অ্যাম্বুল্যান্স চালক, সাফাই কর্মীরা। তাঁদের কোভিড যোদ্ধা হিসেবে সম্মানিত করছে রাজ্য সরকার। এ বার সেই সম্মানে সম্মানিত হবেন রাজ্যের সংশোধনাগারের কর্মী-আধিকারিকরাও। সূচনা হবে আজ, শনিবার, স্বাধীনতা দিবসের সকালে।
জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনার আঁচ পৌঁছতে শুরু করে সংশোধনাগারে। সংক্রমিত হতে থাকেন বিভিন্ন জেলের কর্মী-আধিকারিকরা। অনেক বন্দিদের শরীরেও নোভেল করোনাভাইরাসের সন্ধান মেলে। সব মিলিয়ে সংশোধনাগারের প্রায় একশো জন করোনায় আক্রান্ত হন। তার মধ্যে অনেকে সেরে উঠেছেন। ধীরে ধীরে কাজেও যোগ দিচ্ছেন কর্মী-আধিকারিকরা। শনিবার তেমনই সংশোধনাগারের দশজন কর্মী-আধিকারিককে কোভিড যোদ্ধা হিসাবে সম্মানিত করবে কারা দফতর। সরকারের নির্দেশে তা করা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন কারা দফতরের কর্তারা। এই তালিকায় রয়েছেন দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার শুভেন্দুকৃষ্ণ ঘোষ, বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের জেলর সব্যসাচী ভট্টাচার্য, দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ওয়েলফেয়ার অফিসার শুভদীপ মুখোপাধ্যায়, বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের রাজকুমার বিশ্বাস, প্রেসিডেন্সি জেলের ওয়ার্ডার অমৃত পোদ্দার, আলিপুর মহিলা জেলের সাফাইকর্মী লক্ষ্মী মিনজ্-সহ দশজন। শনিবার সকালে সাড়ে ১১টার সময়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে এই কর্মসূচি হওয়ার কথা রয়েছে।
রাজ্যের সংশোধনাগারের ক্ষেত্রে এই প্রথম কোভিড যোদ্ধাদের সম্মানিত করা হল। ধাপে ধাপে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। সংশ্লিষ্ট সংশোধনাগারে কর্মী-আধিকারিকদের জন্য পদক আর শংসাপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানাচ্ছেন কারা কর্তারা।
অতিমারি পর্বে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন সংশোধনাগারের কর্মী-আধিকারিকরা। আবার সুস্থ হয়ে কাজেও যোগ দিয়েছেন তাঁরা। কর্মী-আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ায় সংশোধনাগারের দৈনিক কাজকর্ম পরিচালনা নিয়ে চিন্তা বাড়ছিল কারা দফতরে। তবে এখন সেই পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হয়েছে বলে দফতর সূত্রে দাবি। যদিও কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ কারা দফতর।