জগদীপ ধনখড়। ফাইল চিত্র।
অর্ডিন্যান্স জারি করে দু’টি অর্থ বিল কার্যকর করার জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন চেয়েছিল নবান্ন। পত্রপাঠ সেগুলি ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। তাঁর যুক্তি, ‘‘বিধানসভার অধিবেশন চললে কোনও অর্ডিন্যান্স আনা যায় না। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হয়ে রয়েছে। সেই কারণেই বিল দু’টি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে নবান্নের এক কর্তার মন্তব্য, ‘‘আইনি দিক খতিয়ে দেখে সরকার পদক্ষেপ করবে।’’
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে বলা হচ্ছে, জিএসটি পরিষদে সম্প্রতি বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। নিয়ম অনুযায়ী সব রাজ্যকে বিধানসভায় এই সংক্রান্ত আইন পাশ করতে হবে। এখন বিধানসভা চলছে না, তাই অর্ডিন্যান্স জারি করতে চেয়েছিল অর্থ দফতর।
দ্বিতীয় বিলটি রাজ্যের ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত। বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইন (এফআরবিএম) অনুযায়ী রাজ্য এখন মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৩.৫% বাজার থেকে ঋণ নিতে পারে। কোভিড অতিমারির কারণে কেন্দ্র তা বাড়িয়ে ৫% করেছে। কিন্তু রাজ্য আইন না-করলে বাজার থেকে বাড়তি ধার নিতে পারবে না। এই সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সের প্রস্তাবও রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের পরে দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন নিয়ে আতঙ্ক
আরও পড়ুন: পাল্টা কৃষক জমায়েতে আজ বক্তৃতা মোদীর
বিধানসভা সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরের গোড়ায় এক দিনের জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসেছিল। তার পরই অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিধানসভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘বিধানসভা মুলতবি হয়ে রয়েছে। তবে এমন কোনও অর্ডিন্যান্সের কথা জানি না।’’
এখন কী হবে? রাজভবনের দাবি, অধ্যক্ষ যদি বিধানসভা মুলতুবি করার অনুমোদন চান এবং রাজ্যপাল যদি তাতে সায় দেন, তা হলে তার পরে সরকার অর্ডিন্যান্স আনতে পারে। না হলে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে বিল দু’টি পাশ করাতে হবে।