করোনা পরিস্থিতি সামলানোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এল চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি।
ক্লাব থেকে বেসরকারি সংস্থা, সকলকেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এল চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি। কেন্দ্রীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে চন্দননগরের প্রতিটি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটিকে অসহায় মানুষের পাশে থাকার এবং করোনা মোকাবিলার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
রবিবার সেই ডাকে সাড়া দিয়ে উর্দি বাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নিল। এই পরিকল্পনায় করোনা সংক্রমিত মানুষের ওষুধ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি, নার্সিং হোম ও হাসপাতালে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়াতেও সাহায্য করা হবে হবে। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত পরিবারের বাড়িগুলি জীবাণুমুক্ত করার জন্য যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সাধারণ মানুষের কাছে এই পাশে থাকার বার্তা পৌঁছে দিতে রবিবার থেকেই শুরু হয়েছে লিফলেট বিলি করার কর্মসূচি। সেই লিফলেটে থাকছে বেশ কিছু ফোন নম্বর। সেখানে যোগাযোগ করলেই মুশকিল আসান হবে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। কমিটির সদস্যরা মনে করছেন, এই ধরনের কাজ যদি পাড়ায় পাড়ায় প্রতিটি ক্লাব ও পুজো প্রতিষ্ঠান করে, তা হলে সাধারণ মানুষের অনেকটা উপকার হবে। রবিবার কর্মসূচির সূচনালগ্নে চিকিৎসক সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অক্সিমিটার দিয়ে অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপা হয় সাধারণ মানুষের। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, ‘‘চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে ১৭১ টি পুজো কমিটি বিভিন্ন জায়গায় করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করবে। আমরা আপাতত অক্সিমিটার দিয়ে পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়াও মানুষের অসুবিধা হলে হেল্পলাইনে ফোন করলেই আমরা সাহায্যের ব্যবস্থা করব।’’