মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
অযোধ্যার ‘রাম মন্দির’ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের সম্ভাব্য সময় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুক্রবার বলেন, ‘‘এপ্রিল মাসের মধ্যেই জগন্নাথ মন্দির সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।’’ সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ওই মন্দির হবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সমান উচ্চতার।
পোস্তা ব্যবসায়ী সমিতি আয়োজিত জগদ্ধাত্রী পুজোর এ দিন উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির সজ্জা ও রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের এক গুচ্ছ উদ্যোগের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিজেপির নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘সব গেরুয়া রং করে দিচ্ছে! ভারতীয় ক্রিকেট দলের অনুশীলনের জার্সির রং গেরুয়া করে দিয়েছে। মেট্রো স্টেশনের রংও গেরুয়া।’’ সেই সূত্রেই তিনি রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগও সামনে নিয়ে এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘শুধু বিজ্ঞাপন করা হচ্ছে। এই যে বিজ্ঞাপন, তার টাকায় ১০০ দিনের কাজের টাকা মেটানো যেত।’’
গেরুয়া রং নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘এই অন্ধ গেরুয়া বিরোধিতার কারণ ধর্মীয় মৌলবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া, ব্লক ভোটকে নিশ্চিত করা। গেরুয়া রং ভারতীয়ত্বের প্রতীক। একে যাঁরা অস্বীকার করতে চাইবেন, তাঁরা কালের অতলে তলিয়ে যাবেন।’’
পোস্তার ব্যবসায়ীদের তরফে কিছু সমস্যার কথা এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনা হয়েছিল। বক্তৃতায় সে সব উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী পোস্তা বাজারের জমি সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘পোস্তার জমি নিয়ে মামলা চলছে। তার মালিক এখনও রাজ্য সরকার। এখানে পোর্টের ( কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ) থেকে কাগজ দেখানো হচ্ছে। সে কাগজ বৈধ নয়।’’ সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা ঘেরার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ আইন দফতর ও ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে কথা বলে বেআইনি কাজ করতে দেবে না।’’ পার্কিং ফি নিয়ে অবৈধ ভাবে টাকা আদায় করা হচ্ছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। রাজ্য সরকারের জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার কথাও এসেছিল মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘‘খাস জমি দখল করে ব্যবসা চলছে। অনেকেই না জেনে সেখানে ঘরবাড়ি কিনছেন।’’ এ সব দেখার জন্য জমি সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।