Jagaddhatri Puja

জগদ্ধাত্রী পুজোয় বাহারি চালচিত্রে এ বার থিমের ছোঁয়া, ভিড় টানছে চন্দননগর

জগদ্ধাত্রী পুজোয় প্রতিমার পিছনে ডাকের সাজও কম আকর্ষণীয় নয়। এ বার সে সাজেও নান্দনিক থিম দেখা যাচ্ছে। কোনও মণ্ডপের ডাকের সাজে নিপুণ ভাবে ফুটে উঠেছে রামায়ণের কাহিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ ২১:৩৪
Share:

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় সাধারণত সাবেকি ধাঁচের মূর্তিই চোখে পড়ে। —নিজস্ব চিত্র।

ষষ্ঠীর দিনেই উৎসাহীদের ভিড় টানছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। আলোর কারসাজি, ডাকের সাজের পাশাপাশি বহু মণ্ডপই সেজে উঠেছে বাহারি চালচিত্রে। এ বার সেই চালচিত্রে নানা থিমের ছোঁয়া। তাতে কোথাও রামায়ণের কাহিনি। কোথাও বা হনুমানের বৃত্তান্ত। কোনও মণ্ডপের চালচিত্রে ফুটে উঠেছে কৃষ্ণের কর্মকাণ্ড।

Advertisement

জগদ্ধাত্রী পুজোয় আলোর কারসাজি দেখতে অনেকেই ছুটে আসেন চন্দননগরে। সাধারণত সাবেকি ধাঁচের মূর্তিই চোখে পড়ে এখানে। তবে প্রতিমার পিছনে ডাকের সাজও কম আকর্ষণীয় নয়। এ বার সে সাজেও নান্দনিক থিম দেখা যাচ্ছে। কোনও মণ্ডপের ডাকের সাজে নিপুণ ভাবে ফুটে উঠেছে রামায়ণের কাহিনি। কোথাও বা সোনার হরিণ, সীতাহরণ, রাবণের রথ বা রাম-রাবণের যু্দ্ধ— শিল্পীর কল্পনায় প্রাণ পেয়েছে সে সাজ। সোলা কেটে কেটে এত সূক্ষ্ম কারুকাজে বলা হয়েছে কৃষ্ণকথা বা পৌরাণিক গল্প।

পুজো কমিটিগুলি সূত্রে খবর, মূলত বর্ধমানের বনকাপাসি এলাকা থেকে তাঁদের কাজের নমুনা নিয়ে সোলাশিল্পীরা আসেন চন্দননগরে। আবার কুমোরটুলি থেকেও বেশ কিছু ডাকের সাজ আনা হয়। বস্তুত, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় চন্দননগরের আলোর জাদু দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসেন। পুজো উদ্যোক্তাদের আশা, চলতি বছর আলোর পাশাপাশি সুউচ্চ প্রতিমা এবং ডাকের সাজের থিমও মন জয় করবে দর্শনার্থীদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement